বর্তমানে গ্রীষ্মের মরশুম চলছে। সকালে ও সন্ধ্যায় শীতল বাতাস বইছে। বিকেলে যদি প্রচণ্ড রোদ হয় তবে বারবার তৃষ্ণা পায়। অতএব, এই মরশুমে আপনার খাবারের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষত, এই সময় এ জাতীয় জিনিস খান, যা আপনার শরীরকে শীতল রাখে এবং দেহে জলের কোনও অভাব না হয় । কারণ এই মৌসুমে কিছুটা অসতর্কতা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।
আসলে, মানুষের গড় দেহের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হওয়া উচিৎ, যদি এটি কম বা বেশি হয়ে যায় তবে এটি শরীরে সমস্যা সৃষ্টি করতে শুরু করে। দেহের উত্তাপ বাড়ার কারণে অনেক ধরণের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে যা এ থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন করে তোলে। অতএব, আমরা আপনাকে এমন কয়েকটি জিনিস সম্পর্কে তথ্য দিচ্ছি, যা অবশ্যই আপনার গ্রীষ্মে গ্রাস করা উচিৎ।
এই পাঁচটি জিনিস ব্যবহার করুন :
১. তরমুজ :
গ্রীষ্মে তরমুজ খাওয়া শরীরকে শীতল রাখতে এবং জলের অভাব পূরণ করার জন্য তরমুজ একটি ভাল বিকল্প। কারণ তরমুজে ৭০ শতাংশ জল থাকে। এতে কেবল জলই নয়, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এ ছাড়া ক্যালোরির পরিমাণও কম। তাই তরমুজ খেলে ওজন বাড়ে না এবং আপনার পেটও পূর্ণ থাকে। অনেক ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যার কারণে ডায়াবেটিস এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি নেই।
২. শসা :
শসা খান তরমুজের পাশাপাশি কারন গ্রীষ্মে শসা খাওয়া খুব উপকারী । কারণ গ্রীষ্মে শসা খাওয়া খুব উপকারী। এটি খেলে শরীরে জলের অভাব হয় না। শসাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এ ছাড়া শসা খেলে বেশিদিন তৃষ্ণার সৃষ্টি হয় না।
৩.কিউই :
এই মৌসুমে তরমুজ, শসা ছাড়াও কিউই খাওয়া উচিৎ। কিউইর টক মিষ্টি স্বাদ বেশিরভাগ লোক পছন্দ করে। এটি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ১, বি ২, বি ৩ এবং ভিটামিন সিতে পাওয়া যায় এ কারণে হার্ট, দাঁত, কিডনি এবং মস্তিষ্ক ভাল থাকে।
৪. দই :
গ্রীষ্মে দই খাওয়া শরীরকে অনেক উপকার দেয়। কারণ দই ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম এবং খনিজ সমৃদ্ধ। এটি আপনার হাড়ের জন্যও ভাল। আপনি যদি ২৫০ গ্রাম দই খান কারন এতে ৭০ শতাংশ জল থাকে। এতে প্রচুর প্রোটিন রয়েছে, যদি আপনি ওজন হ্রাস করতে চান, তবে ডায়েটে দই অন্তর্ভুক্ত করুন।
No comments