আয়ুর্বেদ বৈদ্যের মতে, প্রত্যেকেরই তাদের শরীরের তাপমাত্রা জানে, তাই তাদের সেই বিষয়টি মাথায় রেখে পরিমাণ মতো জিনিস নেওয়া উচিত। আসুন জেনে নিন কোনটি এমন জিনিস যা গ্রীষ্মে বেশি গ্রহণের মাধ্যমে ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
গরমে বেশি আদা খাবেন না
যদিও আদা উপকারী তবে এটি বেশি পরিমাণে এবং বারবার ব্যবহার করা শরীরের ক্ষতি করতে পারে। আদা অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করতে পারে, যা হাইপো-গ্লাইসেমিয়ার অবস্থার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
বিশেষত, রাতে আদা চা পান করা বা ডিকোশন এড়ানো উচিত। গ্রীষ্মের মরসুমেও যদি আপনি দিনে বেশ কয়েকবার আদা খান তবে এটি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। গ্রীষ্মের মরসুমে বেশি আদা খেলে পেট খারাপ এবং ডায়রিয়ার ঝুঁকি থাকে। এটি অম্বল এবং অ্যাসিডিটির কারণও হতে পারে।
রসুন খাওয়ার ফলে লিভারের সমস্যা হতে পারে
রসুন একটি খুব গরম উপাদান এবং এটি গ্রহণ শীতের জন্যও উপকারী। গ্রীষ্মে খুব বেশি রসুন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। রসুন আয়ুর্বেদের ভাষায় 'অ্যান্টি পাওয়ার ক্যান্সার' নামে পরিচিত।
গ্রীষ্মে রসুনের অতিরিক্ত ব্যবহার লিভারের ক্ষতি করতে পারে এবং পেটের সমস্যাও হতে পারে। কাঁচা রসুনে আরও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটির অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে লিভারের জন্য বিষাক্ত হতে পারে।
গরমে গ্রীষ্মকালে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে
সাদা চিনির চেয়ে গুড় স্বাস্থ্যকর তবে শীতের জন্য এটি বেশ ভাল। তবে গ্রীষ্মে গুড় খাওয়া খুব বেশি উপকারী নয়। গুড় খাওয়ার কারণে কিছু লোক কোষ্ঠকাঠিন্যেরও অভিযোগ করে। চা এবং ডিকোশনে এর ব্যবহার নাক থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
বাদামের অতিরিক্ত ব্যবহার ডায়রিয়া এবং মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে
আজকাল অনেকে শরীরে তাপ উৎপাদন করতে বাদাম খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়েছেন। শীতকালে আপনি ১০ থেকে ১২ বাদাম খেতে পারেন, তবে গ্রীষ্মে আপনার কেবল প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ টি বাদাম খাওয়া উচিত। আপনি যদি খুব বেশি বাদাম খান তবে ডায়রিয়া হতে পারে।
No comments