স্ট্রেস আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এটি কেবল আমাদের ভাল পারফর্ম করার জন্যই চাপ দেয় না, সাথে সাফল্যও বয়ে আনে। কিন্তু যখন এটি অপ্রয়োজনীয় জিনিস বা অতিরিক্ত মাত্রায় ঘটতে শুরু করে তখন মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হতে শুরু করে। আমাদের অভ্যন্তরে কিছু অভ্যাস রয়েছে যা এই চাপ তৈরি করতে পারে। আপনার যদি এই ৫ টি অভ্যাস থাকে তবে আপনি সর্বদা উত্তেজনা বজায় থাকবেন।
১. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বেশি ব্যবহার :
আজকের সময়ে, প্রতিটি ব্যক্তি তার বেশিরভাগ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যয় করে। এই অভ্যাসটি খুব ক্ষতিকারক হিসাবে প্রমাণিত হতে পারে। অনেক গবেষণা প্রকাশ করেছে যে সামাজিক যোগাযোগের অতিরিক্ত ব্যবহার আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ হতে পারে। লোকেরা সামাজিক যোগাযোগের পোস্টগুলি, পছন্দগুলি, প্রতিক্রিয়াগুলিকে বেশি গুরুত্ব সহকারে নেয় এবং জোর দেয়।
২. ঘুম কম হওয়া :
লোকের কম ঘুমানোর অভ্যাস থাকে। যা স্ট্রেসের বড় কারণ হতে পারে। আমাদের দেহের জন্য প্রতিদিন ৮-৯ ঘন্টা ঘুমানো জরুরি। এই সময়ে আমাদের মস্তিষ্ক নিজেই মেরামত করে এবং সতেজ হয়। অসম্পূর্ণ ঘুম আপনার মেজাজ নষ্ট করতে পারে এবং আপনি আপনার সেরা পারফরম্যান্স দিতে অক্ষম হন।
৩. অনুশীলন বা ব্যায়াম :
অনুশীলন না করা কেবল আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যেরi উন্নতি করে না। বরং এটি আপনার দেহের অভ্যন্তরে এন্ডোরফিন হরমোন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এই হরমোন স্ট্রেস এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। সুতরাং, যদি আপনার অনুশীলন না করার অভ্যাস থাকে তবে তা অবিলম্বে এটি পরিবর্তন করুন।
৪. প্রাতঃরাশ না করা :
ভারতের লোকেরা প্রাতঃরাশে খুব কম গুরুত্ব দেয়। তবে এটি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রাতঃরাশ আমাদের শরীর এবং মনকে সারা দিন ধরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেয়। প্রাতঃরাশ করা যেমন প্রয়োজন ততই সকালের নাস্তায় পুষ্টিকর খাবার খাওয়াও সমান জরুরি।
৫. ব্যক্তিগত এবং কাজের জীবনকে একীকরণ
করা :
বাড়ি থেকে কাজ করা মানুষের সামনে একটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, যা ব্যক্তিগত এবং কর্মজীবনকে পৃথক রাখা। কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন স্ট্রেস এবং চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কিন্তু এই সমস্ত উত্তেজনা যখন এক সাথে মিশে যায় তখন ব্যক্তির পক্ষে এটি সহ্য করা কঠিন হয়ে যায়।
No comments