খুশকি চুলের একটি সাধারণ সমস্যা। গ্রীষ্ম, বৃষ্টি বা শীত যাই হোক না কেন, খুশকির সমস্যাটি খুব ঝামেলার। শুধু এটিই নয়, বেশিরভাগ মানুষও ভুল খাওয়ার, ছত্রাকের সংক্রমণের কারণে খুশকির সমস্যায় পড়েছেন। সাধারণত খুশকির সমস্যাটিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয় না, তবে যদি সময় মতো যত্ন না নেওয়া হয় তবে এই সাধারণ সমস্যাটিও মারাত্মক হতে পারে। যদিও বাজারে অ্যান্টি-ড্যানড্রাফের প্রচুর শ্যাম্পু রয়েছে তবে তাদের ব্যবহারের কারণে চুল শুকিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এইরকম পরিস্থিতিতে আপনার ঘরের ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করা ভালো, যাতে চুলের ক্ষতি কম হয়।
লেবুর রস :
খুশকির সমস্যা কাটাতে লেবুর রস ব্যবহার করা খুব উপকারী। তবে আপনার এটি সঠিকভাবে ব্যবহার করা উচিত অন্যথায় আপনার চুল শুকিয়ে যেতে পারে। সরিষার তেল বা নারকেল তেলে আস্তে আস্তে একটি লেবু চেপে নিন। এই তেল দিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন এবং কিছুক্ষণ রেখে দিন। এর পর চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু'বার এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে দেখুন আপনি অবশ্যই উপকর পাবেন।
চা গাছের তেল :
টি-ট্রি অয়েলে অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ জাতীয় পরিস্থিতিতে খুশকির সমস্যাটি কাটিয়ে উঠতে এটি খুব কার্যকর উপায়। আপনার শ্যাম্পুতে এর কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। চার থেকে পাঁচবার ব্যবহারে খুশকির সমস্যা সমাধান হবে।
দই :
খুশকির সমস্যায় দই ব্যবহার করা খুব উপকারী। খুশকির সমস্যাটি দূর করার পাশাপাশি এটি চুলকে পুষ্টকর করতেও কাজ করে। এক কাপ দইয়ে এক চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এই প্যাকটি স্ক্যাল্পে লাগান। কিছু দিনের মধ্যে আপনি একটি পার্থক্য দেখতে পাবেন।
নিম এবং তুলসী :
নিম এবং তুলসির কয়েকটি পাতা জলে ভাল করে সিদ্ধ করে নিন। পাত্রটির জল যখন অর্ধেক হয়ে যায় তখন এটিকে ছাঁকুন এবং এটিকে ঠান্ডা হতে দিন। এই জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। কয়েকবার ব্যবহার করলে খুশকির সমস্যা দূর হবে।
No comments