মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য বোর্ডের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করার ঘোষণা করেছেন। পশ্চিমবঙ্গে এ বছর ১২ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী মাধ্যমিক এবং ৮.৫ লক্ষ শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিতো।
করোনা আবহে বিশেষজ্ঞ কমিটি মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক বাতিলের পরামর্শ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জোড়া পরীক্ষা নিয়ে অভিভাবক, পড়ুয়া ও সাধারণ মানুষের মতামত চেয়েছিল সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মাধ্যমিক না হওয়ার পক্ষে জনমত পড়েছে ৭৯ শতাংশ।
উচ্চমাধ্যমিক না হওয়ার পক্ষে জনমত পড়েছে ৮৩ শতাংশ। তিনি বলেছেন, মতামত জানিয়ে সরকারের কাছে ৩৪ হাজার ইমেল। উল্লেখ্য, আজ দুপুর দুটোর মধ্যে ইমেল মারফৎ মতামত জানতে চেয়েছিল সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, পড়ুয়াদের যেন কোনও অসুবিধে না হয়, দেখতে হবে। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক-সিবিএসইর মূল্যায়ন যেন একসঙ্গে হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। জনমতকে গুরুত্ব দিয়ে পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
সিবিএসই কর্তৃক দ্বাদশ বোর্ড পরীক্ষা বাতিলের পরে, অনেক রাজ্য সরকার দ্বাদশ বোর্ড পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, করোনার মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, শিক্ষার্থীদের স্বার্থ মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, "শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং এ নিয়ে কোনও আপস করা যাবে না।"
দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের প্রার্থীদের মূল্যায়ন ও মানদণ্ডের জন্য সিবিএসই (কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড) দ্বারা একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সনম ভরদ্বাজ বলেছিলেন যে, সিবিএসই কমিটি দশ দিনের মধ্যে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের মানদণ্ডের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে।
No comments