গ্রীষ্মের মরসুমে বাজারে আম প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। আম অন্যান্য ফলের চেয়ে শুধু চেহারাতে আলাদাই নয়, এর স্বাদও খুব আলাদা। বিশেষ বিষয় হল বাজারে প্রচুর জাতের আম আসে এবং প্রতিটি জাতের আমের স্বাদ একে অপরের থেকে আলাদা। আপনি যদি আম খাওয়ার শৌখিন হন তবে, জানুন যে আম খেলে কি ওজন বৃদ্ধি হয় কি ? এই প্রশ্নটি যদি এখনও আপনার মনে এসে থাকে, তবে এই প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিন।
আম অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ :
আম কেবল ফল হিসাবেই ব্যবহৃত হয় না তবে এটি চাটনি, আমের পান্না এবং শেক আকারেও ব্যবহৃত হয়। এটি ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ।
আম খেলে কি ওজন বৃদ্ধি হয়?
অনেকের ধারণা আমের খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যায়। যদি আপনিও এটি অনুভব করেন তবে আপনার জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে আম খাওয়া মোটেও ওজন বাড়ায় না। আম ফ্যাট, সোডিয়াম এবং কোলেস্টেরল মুক্ত। অর্থাৎ এতে মোটেও ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল থাকে না তাই এটি সেবন করলে ওজন বাড়ে না।
আম খাওয়ার উপকারিতা :
১. আম ভিটামিন এ সমৃদ্ধ এ কারণে এটি চোখের জন্য উপকারী। তাই আপনি যদি আপনার দৃষ্টি বাড়াতে চান তবে অবশ্যই আম খান।
২. স্বাদে সুস্বাদু হওয়া ছাড়াও আম খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি ফাইবার এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ।
৩. আমে বিভিন্ন ধরণের এনজাইম থাকে। এই এনজাইম গুলি খাদ্য ভাঙ্গতে কাজ করে, যার কারণে খাবার হজম হয়।
৪. আপনি জেনে অবাক হবেন যে আম খাওয়ার ফলে ওজনও হ্রাস পেতে পারে। আসলে, আমের গুঁড়োতে থাকা ফাইবারগুলি শরীরে সঞ্চিত অতিরিক্ত ফ্যাট কমাতে কার্যকর। এর পাশাপাশি আম খাওয়াও ক্ষুধা কমায় কারণ এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে রাখে।
৫. আম যদি খুব পাকা হয় তবে আপনি এর সজ্জাটি মুখেও লাগাতে পারেন। এটি মুখে আভা বাড়িয়ে দেয়।
৬. আপনি কি জানেন যে এটি সাধারণ স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সহায়ক। এটিতে গ্লুটামিন অ্যাসিড নামে একটি উপাদান রয়েছে। এই উপাদানটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কাজ করে।
৭. আম হিটস্ট্রোকের হাত থেকে রক্ষা করে। এক গ্লাস আমের রস পান করার পরে আপনি যদি ঘর থেকে বের হন তবে তা আপনাকে তাপ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে। এটি ছাড়াও এটি শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
No comments