পূজাতে কর্পূর প্রচুর ব্যবহৃত হয়। এটি কর্পূর গাছের ছাল থেকে প্রাপ্ত। যার মধ্যে ঔষধি বৈশিষ্ট্যগুলি প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়। এই গাছটি মূলত ভারত এবং চীনের অন্তর্ভুক্ত। কর্পূর গাছ চিরসবুজ, যার বৃদ্ধি খুব দ্রুত। অনেক সমস্যার চিকিৎসার ক্ষেত্রেও কর্পূর তেল ব্যবহার করা হয়। কর্পূরে রয়েছে টের্পিন, এর ব্যবহারে অনেকগুলি স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যায়। আসুন আমাদের এই কর্পুরের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।
কর্পুরের উপকারিতা
কর্পূর মুখের দাগ কমাতে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া ত্বকে অতিরিক্ত শুষ্কতার কারণে ত্বক শুষ্ক ও দাগযুক্ত হয়। কিন্তু নারকেল তেল মিশ্রিত কর্পূর লাগানোর ফলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়। কলা দুধে কর্পূর গুঁড়ো মিশিয়ে চোখে কাজলের মতো লাগিয়ে চোখের রোগে উপকারী।
১. কর্পুরের উপকারিতা-
কর্পূরে প্রয়োজনীয় তেল ত্বকের চুলকানি ও জ্বলন থেকে মুক্তি দিতে উপকারী। এই প্রয়োজনীয় তেলটি সহজেই ত্বক দ্বারা শোষিত হয় এবং ত্বক শীতলতা পায়। ত্বকে চুলকানি ও জ্বলনের জন্য এক কাপ নারকেল তেলে এক চামচ গুঁড়ো কর্পূর মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি আক্রান্ত ত্বকে লাগান।
২. চুলের জন্য উপকারী
কর্পূর চুলের জন্য উপকারী হিসাবে বিবেচিত হয়। কর্পূর চুলের ক্ষতি, চুল জোরদার এবং খুশকির চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ঘরোয়া প্রতিকারের জন্য, নারকেল তেলের সাথে কর্পূর মিশ্রিত করুন। এই মিশ্রণটি দিয়ে মাথার তালুটি মালিশ করলে আপনাকে খুশকি থেকে মুক্তি পেতে এবং চুলকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করতে পারে।
৩. কর্পুরের উপকারিতা- ব্রণ থেকে মুক্তি
কর্পূরে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা ত্বককে ব্রণ থেকে মুক্তি দিতে পারে। কিছু গবেষণা অনুসারে, তৈলাক্ত ত্বকের লোকদের জন্য কর্পূর বেশি উপকারী। এই ঘরোয়া প্রতিকারের জন্য, এক কাপ নারকেল তেলে দুটি ছোট টিক্কি কর্পূর মিশিয়ে আক্রান্ত ত্বকে অল্প পরিমাণে প্রয়োগ করুন।
No comments