এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের ত্বক খুব স্পর্শকাতর। তাপমাত্রা বা সূর্যালোকের সামান্য এদিক-ওদিক হলেই ত্বকে র্যাশ বেরোতে আরম্ভ করে, লাল হয়ে যায়। যদি কোনও প্রসাধনসামগ্রী ত্বকে সহ্য না হয়, তা হলেও বিপদ – ত্বক লাল হয়ে তো থাকবেই, আরও বড়ো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই কসমেটিক্স তো বটেই, সাধারণ ক্রিম বা লোশন কেনার আগেও অতি অবশ্যই একটা প্যাচ টেস্ট করে নিন। তাছাড়া কয়েকটি ঘরোয়া প্যাকের সাহায্য নিতে পারেন যা আপনার ত্বকের সেনসিটিভিটি নিয়ন্ত্রণে রাখবে। মনে রাখবেন, চট করে লেবুর রস, টোম্যাটো, মধুর মতো উপাদান ত্বকে প্রয়োগ করাটা আপনার ক্ষেত্রে খুব বোকামি বলে সাব্যস্ত হতে পারে – কিন্তু সাধারণত অ্যালো ভেরা, নারকেল তেল বা দইয়ে কোনও সমস্যা হয় না। তাই কোনও ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করার আগেও গালের কাছে অল্প একটু লাগিয়ে দেখে নিন কোনও রিঅ্যাকশন হচ্ছে কিনা। খুব গরম বা ঠান্ডা জল দেবেন না মুখে, জোরে ঘষাঘষি করে তোয়ালে দিয়ে মোছা বা প্যাক তোলার চেষ্টাও না করাই ভালো।
চন্দন আর শসার রস: শ্বেত চন্দন বেটে নিন, তার সঙ্গে মেশান শসার রস। শসা কুরে চেপে রসটা বের করে নিলেই হবে। শীতকালে এর মধ্যে সামান্য পরিমাণে দুধের সর মেশানো যায়। এই প্যাক মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে তুলে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। তার পর অ্যালো ভেরা জেল লাগিয়ে নেবেন।
অ্যালো ভেরা জেল, দই: বাড়িতে পাতা টক দই আর অ্যালো ভেরা জেল ভালো করে মিশিয়ে নিন। চোখের চারপাশ বাদে পুরো মুখে এক পরত প্যাক লাগান। তার পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলে আলতো হাতে মুখের জল শুকিয়ে নিন।
দই এবং ওটমিল: দইয়ের মধ্যে ওটমিল ভিজিয়ে সারা রাত রেখে দিন। পরদিন দুটোকে একসঙ্গে মেখে মুখে লাগান। ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। গরম জলে একটা তোয়ালে ডুবিয়ে নিংড়ে নিন। তার পর সেই তোয়ালে মুখের প্যাকের উপর থুপে থুপে লাগিয়ে সেটি তুলে ফেলুন। মুখ ধুয়ে ময়েশ্চরাইজ়ার লাগান।
গাজর আর দুধ: গাজর কুরে তার রস বের করে নিন। কাঁচা এবং মাঠাযুক্ত দুধের সঙ্গে সেটা মেশান এবং মুখ লাগান। প্যাক লাগানোর আগে অতি অবশ্যই মুখটা খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এই প্যাক ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে দেবে এক লহমায়।
কাঁচা হলুদ আর দুধের সর: কাঁচা হলুদ কুরে রস বের করে নিন, সেটা সরের সঙ্গে মিশিয়ে আধ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন। বের করে মুখে লাগান। ১০ মিনিট পর ভালো করে মুখ ধুয়ে নিলেই চলবে!
No comments