কন্সটেবল, ৩১ বছর বয়সী রিতা কুমারী, বুধবার বিকেলে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি সাহারসায় কর্মরত ছিলেন। তিনি দেড় মাস বয়সী নবজাতক এবং তিন বছরের এক পুত্রকে রেখে গেছেন। তিনি কিছু দিনের ছুটিতে ছিলেন।
পেশায় শিক্ষক সঞ্জীব কুমার বলেছিলেন যে, তার ছোট ভাই মনজিৎ মারা যাওয়ার পরে তার স্ত্রী হতাশায় ভুগ ছিলেন। বুধবার সকালেও তিনি তার দেড় মাস বয়সী শিশু এবং তার মেয়ের সাথে ঘরে শুয়েছিলেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরে যখন শিশুরা তার থেকে আলাদা হয়ে যায়, তখন তিনি ঘরটি বন্ধ করে আবার ঘুমিয়ে পড়েন।
এরপর তিনি যখন বিকেলে ঘরের দরজাটি খুল ছিলেন না, তখন সবাই দরজাটি ভেঙে ফেলেন।এরপর ঘর থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দ্রুত খবর দেওয়া হয় পুলিশকে । তিনি রেখে গেছেন দুই পুত্র প্রিয়ংশু কুমার (৩ বছর) এবং শিবায়ংশ (দেড় মাস)।
নাগরগামা পঞ্চায়েতের তরুণ ও জনপ্রিয় প্রধান মনজিৎ কুমার ১১ মে করোনার কারণে মারা গিয়েছিলেন। ৫ মে অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে তিনি বাড়িতে কোয়ারেন্টিন ছিলেন। তার অবস্থার আরও অবনতি হওয়ার পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বেগুসরাইয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন,সেখানেই মাঝপথে মৃত্যু হয় তার।
কিছুদিন আগে তাঁর বাবা সুরেন্দ্র মাহাতোও বেগুসরাইয়ে করোনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এক সপ্তাহের মধ্যে, করোনার কারণে পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে হতাশ হয়েই রিতা এরূপ পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে সকলে মনে করছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো গ্রামে শোকের ছায়া রয়েছে।
No comments