কোনও বড়ো ধরনের অসুখবিসুখ হলে আলাদা কথা, তা না হলে কিন্তু বেশিরভাগ মহিলার মাথাতেই আজীবন সুন্দর চুল থাকে। টাক পড়ার সমস্যাটা একান্তভাবেই ছেলেদের। কিন্তু হ্যাঁ, মেয়েদের যে সমস্যাটা হয় তা হচ্ছে সিঁথির কাছ থেকে চুল পাতলা হতে আরম্ভ করে ক্রমশ এবং দৃশ্যতই যত দিন যায় তত বাড়ে সমস্যাটা। যাঁরা সিঁদুর পরেন, তাঁরা যদি এই সমস্যায় ভুগতে আরম্ভ করেন হঠাৎ করেই, তা হলে কিছুদিন সিঁদুরের বদলে অন্য কোনও প্রাকৃতিক রং সিঁথিতে ব্যবহার করে দেখতে পারেন। সিঁদুরে নানা ধরনের কেমিক্যাল থাকে, তার প্রভাবে স্ক্যাল্পে অ্যালার্জি হতে পারে। সেই অ্যালার্জিও কিন্তু সিঁথির আশপাশের চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে পড়লে আপনি প্রথমেই যেটা করতে পারেন, তা হচ্ছে সিঁথি বদলে ফেলা। ভালো কোনও হেয়ার স্টাইলিস্টের কাছে গিয়ে চুল কাটুন। এমন কাট বেছে নিন যা চাওড়া সিঁথি ঢেকে দেবে। সেই সঙ্গে চুল যতটা সম্ভব আলগা, খোলা রাখুন। শক্ত করে বিনুনি বা খোঁপা বাঁধাও চলবে না। হিট স্টাইলিং, হট রোলার, কার্লিং টং ইত্যাদির ব্যবহারও যতটা সম্ভব কমানোর চেষ্টা করতে হবে। মোট কথা, চুলে বাড়তি টান পড়া চলবে না একেবারেই।
একবার স্ক্যাল্প পরীক্ষা করিয়ে দেখে নিন সেখানে কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা। যাঁরা নতুন কোনও প্রডাক্ট ট্রাই করার পর এমনটা হতে আরম্ভ করেছে, তাঁরা যত শিগগির সম্ভব সেটির ব্যবহার বন্ধ করুন। কোনও প্রাকৃতিক উপাদান ট্রাই করার আগেও বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে – তাতে যেন আপনার চুল পড়ার হার আরও বেড়ে না যায়! তবে চুলে যদি তেল সহ্য হয়, তা হলে হট অয়েল মাসাজ করা যেতে পারে। চুল ধোওয়ার পর মোটেই আঁচড়াবেন না, শুকোনো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। আগে আঙুল চালিয়ে জট ছাড়িয়ে নিন, তার পর মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান। এমন কোনও প্যাকও লাগানোর দরকার নেই যা তোলার জন্য প্রচুর ঘষাঘষি করতে হয়।
No comments