ডায়াবেটিস রোগীদের তাদের স্বাস্থ্যের আরও যত্ন নিতে হবে, কারণ একটু অযত্নে হঠাৎ রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে। রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়। আপনি চাইলে রান্নাঘরে উপস্থিত রসুন ব্যবহার করতে পারেন। যাইহোক, রসুন বেশিরভাগ খাবারের স্বাদ এবং গন্ধ বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে রসুনে অনেক ঔষধি গুণাবলীর সন্ধান পাওয়া যায় যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, দেহকে ডিটক্স করতে এবং পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। কীভাবে গ্রহণ করবেন তা জেনে নিন।
ডায়াবেটিস রোগীদের এইভাবে রসুন খাওয়া উচিত
পেঁয়াজ, লেবুর রস, আদা রস, রসুনের রস ১০০ গ্রাম রস নিন এবং এটি ভালভাবে রান্না করুন এবং ঘন করুন। এর পরে এতে সমান পরিমাণ মধু মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন এটির এক চামচ গ্রহণ রক্তে শর্করার পাশাপাশি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার পাশাপাশি হার্টের বাধাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।
ব্লাড সুগার রোগীদের জন্য এই রস কীভাবে উপকারী হবে
রসুন
রসুন আমাদের দেহে পাওয়া অ্যামিনো অ্যাসিড হোমোসিস্টিনকে হ্রাস করে, যার কারণে রক্তে চিনির উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজের রস দেহে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়াতে সহায়তা করে। এটিতে ডিটক্সাইফাইং উপাদান রয়েছে যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে কাজ করে।
আদা
ভিটামিন, ম্যাঙ্গানিজ এবং তামা প্রচুর পরিমাণে আদাতে পাওয়া যায় যা রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
লেবু
লেবুতে ভিটামিন এ, বি, সি সমৃদ্ধ পটাসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, তামা, ফসফরাস এবং ক্লোরিন জাতীয় উপাদান রয়েছে। যা ইউরিক অ্যাসিডের পাশাপাশি ওজন হ্রাস এবং রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
সকালে খালি পেটে ২-৩ রসুনের লবঙ্গ কাঁচা চিবিয়ে নিন।
খুব গরম লাগলে রাতে রসুনের কোয়া ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে এগুলি খান। এটি রক্তে শর্করাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
রসুনের ১-২ কোয়া খোসা ছাড়িয়ে হালকা করে গুঁড়ো করে ১ কাপ জলে সিদ্ধ করুন। এতে কিছু দারুচিনি দিন। জল অর্ধেক হ্রাস না হওয়া পর্যন্ত জল সিদ্ধ করুন। গরম রসুন চা প্রস্তুত।
No comments