Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের নকল ইঞ্জেকশন বিক্রির অপরাধে ২ চিকিৎসক সহ ১০ জন কে গ্রেপ্তার করা হল

করোনার সময়কালে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের জাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করা এমন একটি গ্যাংকে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ সন্ধান করেছে। নকল ওষুধ বিক্রির অভিযোগে দুই চিকিৎসকসহ মোট দশ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এই গ্যাং এ পর্যন্ত রোগী…




করোনার সময়কালে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের জাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করা এমন একটি গ্যাংকে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ সন্ধান করেছে। নকল ওষুধ বিক্রির অভিযোগে দুই চিকিৎসকসহ মোট দশ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এই গ্যাং এ পর্যন্ত রোগীদের কাছে প্রায় ৪০০ টি নকল ইঞ্জেকশন বিক্রি করেছে।


পুলিশ জানায়, ১৬ জুন দিল্লি সরকারের ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছিল তারা। অভিযোগে বলা হয়েছিল যেজ ইঞ্জেকশন বিক্রি জাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জেকশন বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এর পরে তদন্ত শুরু করার সময় ডেলিভারি বয় ওয়াসিম খানকে জামিয়া নগর থেকে ধরা হয়। এর পরে, খিদমত মেডিকোসের মালিক শোয়েব খান এবং তার বিক্রয়কর্মী মোহাম্মদ ফয়জাল ইয়াসিন ও আফজালকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সাথে ইঞ্জেকশনের টাকা পেতে শোয়েব খানের কাছে আসা মায়াঙ্ক তালুজাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 


পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শোয়েব খান বলেছিলেন যে, তিনি এই ইঞ্জেকশন সায়েতের মেডি হেলথ কেয়ার শিবম ভাটিয়া থেকে আনতেন। এর পরে শিবম ভাটিয়াকেও গ্রেপ্তার করা হয়। শিবম ভাটিয়া জিজ্ঞাসাবাদে জানান, আফতাব নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি এই ইঞ্জেকশনগুলি নিয়ে আসতেন। এরপরে আফতাবকে নিজামুদ্দিনের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার বড় ভাই আলতামাস হুসেনকে দেওরিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর মেডির হেলথ কেয়ারের মালিক ডাঃ আমির ও পরিচালক ফয়জানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। 


পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত সমস্ত আসামির কাছ থেকে ব্লাক ফাঙ্গাস এবং রেমদেসিভিরের ৩৫০০ টি ইঞ্জেকশন উদ্ধার করা হয়েছে। এই আসামিরা রোগীদের এবং অভাবীদের ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের একটি ইঞ্জেকশন বিক্রি করতেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে চিকিৎসক আলতামাস ও চিকিৎসক আমির জাল ইঞ্জেকশনের এই ব্যবসায় জড়িত ছিলেন।

No comments