ঘুমের মাঝে যাঁদের নাক ডাকে, তাঁদের সাধারণত হাসির খোরাক মনে করা হয় এবং তাঁদের পাশে কেউ ঘুমোতেও চান না৷ নাক ডাকা আসলে নানা রোগের বহিঃপ্রকাশ৷ সাধারণত যাঁদের নাক ডাকে, তাঁদের বারবার ঘুম ভেঙে যায়, ফলে সকালবেলা ক্লান্ত লাগে৷ এটা কিন্তু অবট্রুসিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ৷ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ধরনের রোগীকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত৷ নাক ডাকা বন্ধ করার জন্য কিছু ওষুধপত্র কিনতে পাওয়া যায় বটে, কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সে সব না খাওয়াই ভালো৷ তবে এমন কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যার সাহায্যে খানিকটা উপশম পেতে পারেন৷
অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েল যে কোনও প্রদাহ কমাতে খুব কার্যকর৷ রাতে ঘুমের আগে এক টেবিলচামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খেলে আপনার শ্বাসনালীর আশপাশের অঞ্চলের প্রদাহ কমবে৷ ফলে শ্বাস নিতে সুবিধে হবে, নিশ্চিন্তে ঘুমোতেও পারবেন৷
ছোট এলাচ: বন্ধ নাক খুলে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি অব্যাহত রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে ছোট এলাচ৷ ঘুমোতে যাওয়ার এক থেকে দেড় ঘণ্টা আগে এক গ্লাস গরম জলে দেড় চা চামচ ছোট এলাচের গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়া অভ্যেস করুন৷
হলুদ: অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে পরিচিত৷ সেই সঙ্গে তা প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশন কমাতেও কার্যকর ভূমিকা নেয়৷ সদ্য গুঁড়ো করা এক চাচামচ হলুদ এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ দুধে মিশিয়ে শুতে যাওয়ার আগে পান করুন, খুব ভালো ঘুম হবে৷
রসুন: ঠান্ডা লেগে সর্দি হয়েছে আর সেই কারণে নাক বন্ধ? ঘুমোতে যাওয়ার কিছু আগে এক কোয়া রসুন চিবিয়ে খান, সেই সঙ্গে পান করুন এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল৷ শ্বাসের নালী পরিষ্কার হয়ে যাবে, সারা রাত নিশ্চিন্তে ঘুমোবেন, নাকও ডাকবে না৷
স্টিমিং: ঘুমোতে যাওয়ার আগে নাক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে? সেক্ষেত্রে স্টিম বা ভাপ নিলে নেজ়াল কনজেশন কমতে পারে৷ জল ফুটিয়ে নিন৷ ভাপ উঠতে আরম্ভ করলে নামিয়ে কয়েক ফোঁটা নিম/ টি ট্রি/ ইউক্যালিপটাসের মতো কোনও একটি এসেনশিয়াল অয়েলের কয়েক ফোঁটা যোগ করে দিন ওই জলে৷ তার পর মাথার উপর একটা তোয়ালে চাপা দিয়ে ভাপ নিন জলের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে৷ পারলে এই সময় ঘরের জানলা-দরজা বন্ধ রাখুন৷ টানা ১০ মিনিট স্টিম নেওয়ার পর শুতে যান, আরাম পাবেন৷
এছাড়াও প্রতিদিন ব্যায়াম করুন৷ শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে নাক ডাকার সমস্যাও কমবে৷ প্রাণায়াম করতে পারলেও খুব ভালো হয়৷ ধূমপানের অভ্যেস আছে? পারলে সেটা ছাড়ার চেষ্টা করুন, উপকার পাবেন৷
No comments