হাতের কাছে খুব ভালো মানের এক শিশি মধু থাকলে যে কত উপকার হতে পারে, সে সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই আপনার! তবে হ্যাঁ, খুব ভালো মানের মধুতেই একমাত্র সেই উপকারগুলি মিলবে – বাজার থেকে কেনার সময় তাই সতর্ক থাকবেন। চেষ্টা করুন ফিল্টার বা প্রসেস না করা মধু কিনতে। যাঁরা প্রায়ই পাহাড়ে বা জঙ্গলে বেড়াতে যান, তাঁরা স্থানীয় মানুষের থেকে সহজেই তেমন মধু জোগাড় করতে পারবেন। এবার জেনে নেওয়া যাক মধুর বিভিন্ন গুণ।
ময়েশ্চরাইজ়ার: ত্বকের আর্দ্রতা সুনিশ্চিত করতে মধুর কোনও বিকল্প হয় না। আপনার ফেস প্যাকে তা যোগ করুন। দুধ, ময়দা, সর, ইত্যাদি দিয়ে তৈরি বডি স্ক্রাবেও মধু যোগ করুন নিশ্চিন্তে – ফারাকটা দেখে অবাক হয়ে যাবেন!
সর্দি-কাশি নিরাময়: একটা সময় মধু সব বাড়িতেই রাখা হত বটে, তবে তা চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করাটা হালে শুরু হয়েছে। মধুর প্রধান কাজ ছিল সর্দি-কাশি নিরাময়। ঠান্ডা লেগে গলা খুসখুস বা ঘুষঘুষে কাশি ইত্যাদি হলে মধু-লেবু মেশানো চা বা পাঁচন পান করার রীতি বহুদিন প্রচলিত এবং তা অত্যন্ত কার্যকরও বটে। মনে রাখবেন, যে কোনও গরম টক পানীয় গলার কাছে জমে থাকা কফ পাতলা করে দেয় আর মধুর প্রভাবে কমে ইরিটেশন বা প্রদাহ।
পোড়া সারানোর উপায়: পোড়া ত্বকের উপর মধুর পরত লাগালে ক্ষত তাড়াতাড়ি সারে। তবে তার উপরে গজ কাপড় জড়িয়ে রাখলে ভালো করবেন। দিনে তিন-চারবার ড্রেসিং পরিবর্তন করানোও দরকার।
অ্যান্টিসেপটিক মলম: কোথাও কেটে-ছড়ে গেলে মধুর পরত লাগানোটা জরুরি, এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল প্রপার্টি ক্ষত তাড়াতাড়ি সারাতে সাহায্য করে।
ব্রণ সারানোর উপায়: যাঁদের ত্বকে নিয়মিত ব্রণর উৎপাত দেখা দেয়, তাঁরা অবশ্যই একবার ব্রণর উপর মধুর পরত লাগিয়ে দেখুন। খুব তাড়াতাড়ি তা সারবে তো বটেই, দাগ-ছোপও মিলিয়ে যাবে সহজেই। ফেস মাস্কে মধু মেশালেও খুব ভালো ফল মিলবে।
No comments