রাতে ঠিক মতো ঘুমোলে শরীর ভাল থাকে, এটা তো এতদিন জানতেন! কিন্তু রাতে ঘুমনোর সঙ্গে ত্বকের সম্পর্ক আছে, এটা কি জানেন? হ্যাঁ, আপনি যে ভঙ্গিতে ঘুমোচ্ছেন, তার সঙ্গে স্বাস্থ্যর সম্পর্ক তো আছেই, রয়েছে ত্বকের সুস্থতার সম্পর্কও। কম বয়সেই ত্বক কুঁচকে যাওয়া, ত্বকে অত্যধিক ব্রণ হওয়া এই সব সমস্যা বাড়বে ঠিক ভঙ্গিতে না ঘুমোলে। ঘুমনোর ভঙ্গি ঠিক না হলে, ত্বকের গ্রন্থিগুলো ঠিক মতো বাতাস পায় না। তাই নানা ত্বকসংক্রান্ত সমস্যা তৈরি হয়। এমনকী কম বয়সে ত্বক বুড়োটেও হয়ে যেতে পারে! কী ভাবে ঘুমোচ্ছেন, সেটা ঠিক কি না জেনে নিন।
বালিশ জড়িয়ে ঘুমনো
পাশ ফিরে বালিশে জড়িয়ে শুতে আমরা অনেকেই অভ্যস্ত। কিন্তু এর ফলে ত্বকে দাগ ও চুলকানির সমস্যা হতে পারে। বালিশে অনেক সময় ব্যাকটিরিয়া থাকে, তাই একটি পরিষ্কার বালিশের কভার পরিয়ে শুতে পারেন। না হলে রাতে কোনও ক্রিম মেখে শুলে সেটাও লেগে যেতে পারে বালিশে।
চিৎ হয়ে শোওয়া
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটাই ঘুমনোর সবচেয়ে ভাল ভঙ্গি। পিঠ দিয়ে শোওয়ার ফলে ত্বকের সব গ্রন্থি ভালমতো অক্সিজেন পায়। রক্তসঞ্চালনও ঠিক মতো হয়। এই ভাবে শুলে ত্বকে কোনও দাগ হয় না। বালিশের তেল বা অন্যান্য ময়লাও ত্বকে লাগে না। ত্বকে চুলকানির ঝুঁকিও কম হয়।
পেটে চাপ দিয়ে উপুড় হয়ে শোওয়া
অনেকেই এই ভাবে শুতে পছন্দ করেন। কিন্তু জানেন কি এর চেয়ে ক্ষতিকর শোওয়ার ভঙ্গি আর কিছু হতে পারে না? ত্বকের গ্রন্থিগুলো এই ভঙ্গিতে ঠিক মতো অক্সিজেন পায় না। বালিশে মুখ গুঁজে শোওয়ার ফলে মুখের ত্বকেও বাতাস একেবারেই পৌঁছয় না। রক্তসঞ্চালনের মাত্রাও ঠিক থাকে না এই ভঙ্গিতে। চোখের তলায় ফোলা ভাব, ত্বকের গ্রন্থিগুলো বুজে যাওয়া-সহ একাধিক সমস্যা হতে পারে এই ভঙ্গিতে শুলে। এই ভাবে শোওয়া থেকে বিরত থাকুন!
পাশ ফিরে শোওয়া
ত্বক ভাল রাখতে এই ভঙ্গিতেও শুতে পারেন। এতে ত্বকের ক্ষতি কম হয়। তবে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ত্বকে কোনও ক্রিম মাখলে সেটা বালিশে লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে খুব চাপ দিয়ে শুলে মুখের এক পাশে বলিরেখা ও ত্বক কুঁচকে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
No comments