করোনার পিরিয়ডে প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা সকলেই জানতে পেরেছি। অনাক্রম্যতা জোরদার করতে, আমরা বিভিন্ন ঘরোয়া প্রতিকার চেষ্টা করি যাতে আমরা সুস্থ থাকতে পারি। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ প্রচুর সর্বনাশ সৃষ্টি করেছে, এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শক্তিশালী দেহ থাকা খুব জরুরি। আমলকি, রসুন এবং মধু শরীরকে শক্তিশালী করতে খুব কার্যকর, যা প্রাচীন কাল থেকেই ওষুধ আকারে খাওয়া হচ্ছে। আসুন জেনে নেই কীভাবে এই দেশীয় ঔষধটি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ব্যবহার করবেন।
আমলকি:
ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ আমলকি শুধু চোখ, চুল এবং ত্বকের জন্যই উপকারী নয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। আমলকি হজমে স্বাস্থ্যকর রাখে। অম্লতার ক্ষেত্রে আমলকি বেশ উপকারী। এটির রসালো স্বাদ হজম বজায় রাখে এমন এনজাইমগুলিকে সক্রিয় করে। আমলকির গুঁড়ো, চিনি মিশ্রিত করে খাওয়া বা জল পান করা অম্লতা থেকে মুক্তি দেয়। এ ছাড়া আমলকির রস পান করলে পেটের সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আমলকিকে গরম জল দিয়ে কষিয়েও সেবন করতে পারেন। আমলকি ঠান্ডা এবং কফের পাশাপাশি চিকিৎসার পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়া থেকেও সুরক্ষা দেয়। আঁশযুক্ত সমৃদ্ধ আমলা শরীর থেকে টক্সিন সরিয়ে দেয়।
রসুন:
রসুন অনেক ধরণের পুষ্টি সমৃদ্ধ, যা শরীরের জন্য উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম থেকে তামা, পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন এবং ভিটামিন বি ১ ইত্যাদি । খালি পেটে এটি গ্রহণ করা খুব উপকারী। রসুনের অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে। এটি রক্তচাপ এবং সুগার নিয়ন্ত্রণ করে। সকালে খালি পেটে কয়েক কাপ লবণের রসুন গরম জল দিয়ে খেয়ে আপনি অনেক রোগ থেকে দূরে থাকতে পারেন। রসুন শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করার পাশাপাশি রক্ত পরিষ্কার করে।
মধু:
মধু একটি অ্যান্টিবায়োটিক যা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক। এটি স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে ত্বক পর্যন্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। মধুতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। খালি পেটে এক চামচ মধু গরম জলের সাথে ওজন হ্রাস এবং অনাক্রম্যতার সর্বোত্তম চিকিৎসা। মধুতে মোটেই ফ্যাট ফাইবার এবং প্রোটিন থাকে না। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত মধু শরীরকে রোগ থেকে রক্ষা করে।
No comments