গরমকালে অনেকের এই সমস্যাটা হয়। বিশেষত যাঁরা বাইরে ঘোরাঘুরি করে কাজ করেন, তাঁদের প্রায়ই গা গোলায়, খিদের বোধ থাকে না৷ সমস্যাটা খুব তীব্র আকার ধারণ করার আগে পর্যন্ত বমিও হয় না, কিন্তু একটা অস্বস্তি আর মাথা ঝিমঝিম ভাবটা বড়ো ভোগায়৷ অনেক সময় ব্যাপারটা বাড়তে বাড়তে পেট খারাপ বা বুকে ব্যথা পর্যন্ত চলে যায়, সেক্ষেত্রে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ৷ কিন্তু তার আগে পর্যন্ত কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ের সাহায্য নিয়ে দেখতে পারেন আরাম হচ্ছে কিনা৷
আদা: প্রায় ২০০০ বছর ধরে গা বমিভাব কমাতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে এসেছে আদা৷ আদার সুবিধেটা হচ্ছে, যদি গর্ভবতী মহিলাদের মর্নিং সিকনেস হয় বা সমুদ্রে কেউ সি সিকনেসে আক্রান্ত হন, তা হলেও আদা প্রয়োগ করে সুফল মিলতে পারে৷ ক্যান্ডিড জিঞ্জার মুখে রাখলে উপকার পাবেন, আদা দেওয়া চা-ও খেতে পারেন৷ তবে পরিমাণটা যেন দিনে এক গ্রামের চেয়ে বেশি না হয়৷
পুদিনা: পুদিনার শরবত, পুদিনা দেওয়া চা, মিন্ট এসেনশিয়াল অয়েলের সুগন্ধ, সব ক’টাই গা বমিভাব কমাতে অত্যন্ত সহায়ক৷ এমনকী তাজা পুদিনার পাতা ভালো করে ধুয়ে খেলেও খুব ভালো ফল পাবেন৷
লেবু: লেবু অর্ধেক করে কেটে খানিকটা বিটনুন ছড়িয়ে নিন৷ অবশ্য হাই ব্লাড প্রেশার থাকলে নুনটা বাদ দিতে হবে৷ এই লেবুটা চুষে খেলে গা বমিভাব কমে যাবে৷ এক কাপ জল বা সোডায় লেবুর রস মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন৷ পাতিলেবু ছাড়াও কমলালেবু, কিউয়ি খেলেও এই সুফলগুলি মিলবে৷
আমলকী: লেবুর মতোই বিটনুন দিয়ে আমলকীর টুকরো মুখে রাখতে পারেন৷ শুকনো আমলকী তো বটেই, আমলকীর জ্যুসও খুব কার্যকর৷
জল খান বেশি করে: একবার গা বমিভাব শুরু হয়ে গেলে বেশি জল খাওয়া মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়৷ কিন্তু তা এড়াতে চাইলে প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৪ লিটার জল খাওয়া অভ্যেস করুন৷ পর্যাপ্ত জল খেলে হজম ভালো হয়, পেট পরিষ্কার থাকে, ফলে গা বমিভাবও আপনাকে বিব্রত করতে পারবে না৷
শুকনো খাবার খান: পেট খালি রাখবেন না৷ কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর মুড়ি, চিড়েভাজা, শুকনো টোস্ট, ক্রিম ক্র্যাকার বিস্কুট খেলে উপকার পেতে পারেন৷
No comments