সদ্যোজাত সেই শিশুর ঘর কী ভাবে সাজিয়ে তুলবেন, তা ঠিক করতেই নাজেহাল হয়ে উঠেছেন? যেমন তেমন করে নয়, সদ্যোজাতর ঘর সাজান বাস্তু মেনে। তাহলেই ভবিষ্যতের পথ সুগম হবে আপনার শিশুর।
একটি শিশুর জীবনে প্রথম কয়েকটা বছর কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা সকলেই জানি। তার সঙ্গে সেই ক্ষুদ্র মানবশিশুকে সুন্দর একটা জীবন দিতে কী কী করতে হবে তা ভেবে অস্থির হয়ে ওঠেন যাঁরা সদ্য বাবা-মা হয়েছেন তাঁরাও। সদ্যোজাত শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য কী ভাবে তার ঘর বাস্তু মেনে সাজাবেন,জেনেনিন তার কয়েকটি টিপস।
আপনার বাড়িতে কি নতুন অতিথির আগমন হয়েছে :
সূর্যের আলো সদ্যোজাত শিশুর ঘরে যাতে যথেষ্ট পরিমাণে সূর্যালোক প্রবেশ করে, সেই বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। সূর্যালোক শিশুর শারীরিক বিকাশের জন্য় অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিশের করে ভোরের সূর্যের আলো পজিটিভ এনার্জি নিয়ে আসে। এটি জীবাণু নাশ করে এবং শিশুর হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
ঘরের রং :
শিশুর ঘরের রং কিন্তু খেয়াল রেখে নির্বাচন করতে হবে। নরম হালকা রং শিশুর ঘরের দেওয়ালে লাগানোই শ্রেয়। এমনকি সদ্যোজাত শিশু যে সব খেলনা নিয়ে খেলা করে, সেগুলোও যেন চড়া রঙের না হয়। ঘরের দেওয়ালে রাখতে পারেন সূর্যমুখী ফুলের ছবি।
বাবা-মার সঙ্গ।
তবে একটা জিনিস সব সময় খেয়াল রাখবেন ঘরের রং বা খাটের অবস্থানের থেকেও শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল বাবা-মার সঙ্গ। তাই যতটা সম্ভব বেশি করে সময় শিশুর সঙ্গে কাটান। তার জীবনের প্রথম কয়েকটা বছর বাবা-মার সঙ্গর থেকে প্রয়োজনীয় আর কিছুই নয়।
খাটের অভিমুখ :
শিশু যে বিছানায় শোবে, খেয়াল রাখবেন তার মুখ যেন উত্তর-পূর্ব দিক করে থাকে। শিশুর ঘর বাড়ির উত্তর, উত্তর-পূর্ব বা পূর্ব দিকে হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
শিশুর ক্রিব যেন দেওয়াল থেকে ২-৩ ফুট দূরে থাকে। ঘরের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ক্রিব রাখুন। শিশু যখন ক্রিবে শুয়ে থাকবে তখন তার মাথা যেন দক্ষিণ বা পশ্চিম দিকে থাকে।
শিশুর ঘর :
রক সল্টের ম্যাজিক :
সদ্যোজাত শিশুর ঘরে কিছুটা রক সল্ট রাখতে পারেন। এটি ঘর থেকে নেগেটিভ এনার্জি দূর করতে সাহায্য করে। তবে মাঝেমাঝেই রক সল্ট বদলে ফেলুন।
No comments