ছোটদের টিফিন হোক বা দুপুরের ভাত, চিকেন সহজেই পাত খালি করাতে ওস্তাদ। তবে রোজ রোজ ঘ্যানঘেনে মাংসের ঝোল পছন্দ করেন না অনেকেই। সে ক্ষেত্রে মটনের চেয়ে চিকেন অনেক ভাল বিকল্প। মটনের তুলনায় চিকেন দিয়ে অনেক বেশি রান্না করা যায়। আর মুখরোচক স্ন্যাক্স বানাতে চিকেনের তো জুড়ি মেলা ভার।
তবে স্বাস্থ্য সচেতন অনেক মা-বাবাই আজকাল সন্তানকে খুব বেশি ভাজাভুজি খেতে দেন না। শরীরের কথা ভেবে বাড়ির রান্নাতেও তেল-ঝাল এড়িয়ে চলেন। তাই বাড়ার খুদেটা স্ন্যাক্সের বায়না করলেই পত্রপাঠ বাতিল হয় তা। কিন্তু মুখরোচক ভাবে বানানো অথচ শরীরেও জুত আনে এমন খাবার যদি বানাতে পারেন, তা হলে মন-পেট-স্বাস্থ্য সবই ভরে।
চিকেনে এমনিতেই ভরপুর প্রোটিন। এ বার তার মুখরোচক পদে যদি যোগ করে দিতে পারেন দু’-চারটে সব্জি, তা হলে তো কথাই নেই। ‘চিকেন চাট’ এমনই এক পদ। নামেই মালুম, স্বাদু তো বটেই, টক-মিষ্টি-ঝালের মিশেলও থাকবে এই পদে। শিখে নিন এই রান্নার কৌশল।
উপকরণ
বোনলেস মুরগি (ছোট ছোট টুকরা করে কাটা): ৫০০ গ্রাম
সেদ্ধ আলু (টুকরো করে কাটা): ৪টে
পেঁয়াজ কুচানো: ২টি
রসুন কুচি: ১/২ চামচ (ফোড়নের জন্য)
গোটা জিরে: ২ চা চামচ
টম্যাটো: ৪ টি
কাঁচালঙ্কা কুচি: স্বাদ মতো
লাল লঙ্কা গুঁড়ো: স্বাদ অনুযায়ী
ভাজা মশলা: ৪ চা চামচ
চাট মশলা: ২ চা চামচ
লেবুর রস: ৩ টি
নুন: স্বাদ মতো
ধনেপাতা ও পার্শলে কুচি: ৪ চা চামচ
আমচুর পাউডার: ২ চা চামচ
নুন স্বাদমতো
টক দই: দু’ চামচ
কাঁচা বাদাম
গোল মরিচ গুঁড়ো: ২ চা চামচ
সাদা তেল ১ চামচ
প্রণালী: একটি তাওয়ায় তেল গরম করে অল্প আঁচে সেদ্ধ করা চিকেনকে একটু নেড়েচেড়ে নামিয়ে রাখুন। এ বার তাতে গোটা জিরে ও রসুন কুচি ফোড়ন দিন। এর পর সেদ্ধ করে কেটে রাখা আলু, পেঁয়াজ, টমেটো কুচি ও পিঁয়াজ কুচি ভেজে নিন। আলাদা এক পাত্ররে কাঁচা বাদামও বেজে রাখুন। সব্জিগুলো নরম ও লালচে হয়ে এলে ওর মধ্যে কাঁচালঙ্কা, বাদাম ভাজা, চাট মশলা, ভাজা মশলা, আমচুর গুঁড়ো ও লঙ্কাগুঁড়ো যোগ করুন। এ বার ভেজে রাখা চিকেন এর সঙ্গে যোগ করুন। আবারও ভাল করে সতে করে নিন। নামানোর আগে ধনে পাতা কুচি, পার্শলে কুচি ও লেবুর রস মাখিয়ে নিন এই পদে। পরিবেশনের আগে গোল মরিচ গুঁড়ো, টক দই ও আর একটু ভাজা মশলা ছড়িয়ে নিলেই মনের মতো টিফিন তৈরি।
No comments