উত্তরের দুটি জেলা অবিরাম বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টি এবং তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে ক্রান্তি ব্লকের চাপাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের বৃহৎ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গ্রামে তিস্তার জলে প্রায় ৪০০ পরিবার আটকা পড়েছে। দোমানি চাপাডাঙ্গা এবং ক্রান্তিকে সংযোগকারী রাজ্য সড়কটিও জলের নিচে।
বৃহস্পতিবার সকালে তিস্তার জল ঢুকে পড়ার কারণে গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসুসুবা, মাস্টার পাড়া ও কেরানী পাড়া জলে ডুবে যায়। স্থানীয় মানুষ তিস্তা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। মালের মহকুমা শাসক পীযূষ ভগবান, ক্রান্তির বিডিও প্রবীর কুমার সিনহা এবং আরও অনেকে এদিন বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
মহকুমা শাসক জানিয়েছেন, স্থানীয় মানুষকে শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টির কারণে লিসরিভার চা বাগানের ঘিস নদীর বাঁধ বিপন্ন। ইতিমধ্যে, জেলা পরিষদ নির্মিত নদীর বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার উপড়ে পড়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় এই অঞ্চলে ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কালিম্পং -এ প্রবল বৃষ্টির খবরও রয়েছে। প্রশাসন বিষয়টির দিকে নজর রাখছে।
রাতভর প্রবল বৃষ্টিতে শিলিগুড়ির বিশাল এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। শান্তি নগর, অশোকনগর, সন্তোষী নগর, শক্তিগড়, চম্পাসারী সহ শহরের অনেক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
রাতভর বৃষ্টির কারণে আলিপুরদুয়ারের বেশ কয়েকটি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলাবদ্ধতা বিভিন্ন স্থানে স্বাভাবিক জীবনকে প্রভাবিত করেছে। সাধারণ মানুষ রাফ্টে রাস্তা পার হচ্ছে। অন্যদিকে, জলদাপাড়া ট্যুরিস্ট লজের একমাত্র রাস্তায় কাঠের সেতু রয়েছে। এই সেতু হলং নদীর উপর নির্মিত। বৃহস্পতিবার সকালে এই সেতুর একটি অংশ জলে ভেসে গেছে। এই কারণে কিছু পর্যটক জলদাপাড়া লজে আটকে আছে।
No comments