খড়িবাড়িতে জোড়া হত্যাকাণ্ড। এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার শ্যালিকা ও শ্বশুরকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একজন প্রতিবেশী গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাটি সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে খড়িবাড়ি থানা এলাকার শচীন্দ্র চন্দ্র চা বাগানের দীপা লাইন এলাকার। নিহতদের নাম মাহারু ওরাও (৬৭) এবং পেনো ওরাওঁ (২৭)। তাদের মধ্যে বাবা এবং মেয়ে সম্পর্ক ছিল।
তাদের বাঁচাতে গিয়ে প্রতিবেশী আলবার্ট মিনজ গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনা সোমবার সন্ধ্যায় খড়িবাড়িতে আলোড়ন সৃষ্টি করে। পুলিশ তদন্ত করছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের কারণে অভিযুক্ত তার শ্যালিকা ও শ্বশুরকে হত্যা করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পেনো শচীন্দ্রচন্দ্র চা বাগানের স্থায়ী কর্মচারী। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি কাজ থেকে বাড়ি ফেরেন। জানা গেছে, পেনো বাড়ি ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই তার জামাইবাবু মারিয়ানুস ওঁরাও হঠাৎ তাকে ছুরিকাঘাত করতে শুরু করে। বৃদ্ধ বাবা মাহারু মেয়েকে বাঁচাতে দৌড়ে গেলে মারিয়ানুস তাকেও ছুরিকাঘাত করে।
প্রতিবেশী আলবার্ট সেখানে চিৎকার শুনে আসে। তাকেও মারিয়ানুস ছুরি দিয়ে কোপায়। এলাকার অন্যান্য বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে এলে মারিয়ানুস পালিয়ে যায়। খবর পাওয়ার পর খড়িবাড়ি গার্ডেনের ম্যানেজার ভিপি সিং ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি খড়িবাড়ি থানায় খবর দেন। গুরুতর আহত তিনজনকে খড়িবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক পেনো ও মাহারুকে মৃত ঘোষণা করেন। আলবার্টকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ডেপুটি পুলিশ সুপার অচিন্ত্য গুপ্ত জানিয়েছেন, দুজন মারা গেছেন। আরেকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খুনের পরই অভিযুক্ত পলাতক। বাড়ির তল্লাশিতে মারিয়ানুস ওরাওঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে মঙ্গলবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।
No comments