অনেক লোক আছেন যারা ফ্লাইট বাতিল করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসে যেতে পছন্দ করেন। রাজধানী এক্সপ্রেস মূলত অফিস পর্যটকদের সুবিধার জন্য নির্মিত হয়েছিল। সন্ধ্যায় উঠে সকালেই পৌঁছে যাওয়া যায় দিল্লিতে। এই বিশেষ ট্রেনের অনেক সুবিধা ছিল।
ট্রেনে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে গরম স্যুপ এবং বিস্কুট, তারপর মাছ ভাজা এবং চা। রাতে দারুণ ডিনার। নিরামিষাশী যাত্রীদের জন্য ভাত, রুটি, সবজি, পনির, আইসক্রিম এবং মিষ্টি, ভাত, রুটি, মাংস, সবজি, আইসক্রিম আমিষ যাত্রীদের। সকালের নাস্তা চা বিস্কুট।
ট্রেনে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দুটি চাদর বালিশ এবং একটি কম্বল মজুত থাকত। যখনই যাত্রী কল করবে তখন হেল্পার টিম উপস্থিত থাকত। কিন্তু এখন সেসব কই? এখন আপনি এয়ার কন্ডিশনার ছাড়া কিছুই পাবেন না। খাবারের সুবিধা নেই। খাবার কিনে খেতে হয়। একটি চাদর এবং বালিশ নিয়ে উঠতে হয় যাত্রীদের। বলা হয়ে থাকে যে মোদীর সময়ে একবার পরিস্থিতি বদলে গেলে তা আর ফিরে আসে না। তাই নতুন নিয়মের রাজধানী এক্সপ্রেস আজ সাদামাটা। দাম বেশি কিন্তু কোনও সুবিধা নেই। ট্রেনের নাম কি আদৌ রাজধানী রয়েছে?
No comments