আজ আমরা এই প্রতিবেদনে হাতি সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য দিতে যাচ্ছি। হাতি দলে থাকে সবসময়। দলপতি অনেক শক্তিশালী দাঁতাল। দলের মাঝখানে হাতি বাচ্চাদের ঘিরে থাকে মা-দিদিমারা। বাচ্চারা বড় হযে গেলে তারা দলের বাইরের দিকে থাকে। পরিণত দাঁতালরা নিজেদের দল গঠনের চেষ্টা করে। হাতি ৫০-৭০ বছরের বেশি বাঁচে না। এগুলো তো গেল হাতি সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান। এখন জানুন হাতি সম্পর্কিত কিছু মজাদার তথ্য।
হাতি মানুষের মতো শুয়ে ঘুমায় না, বরং দাঁড়িয়ে ঘুমায়।
হাতির বয়ঃসন্ধি আসে মাত্র ১৩ বা ১৪ বছর বয়সে।
হাতি ৪.৫ কিলোমিটার দূর থেকে গন্ধ নিতে পারে।
হাতিরা দিনে মাত্র ৪ ঘন্টা ঘুমায়।
পৃথিবীতে হাতি একমাত্র প্রাণী যা লাফ দিতে পারে না এবং চারটি হাঁটু রয়েছে।
মানুষের কণ্ঠের মতো প্রতিটি হাতির আওয়াজও আলাদা।
যখন একটি হাতি আঘাত পায়, অন্য একটি হাতি তাকে সবসময় সাহায্য করে।
একটি পাল থেকে হাতির মৃত্যুর পর অন্য সব হাতি বিভিন্ন শব্দ করে তাদের দুঃখ প্রকাশ করে।
হাতি পরিষ্কার থাকতে পছন্দ করে। হাতি প্রতিদিন স্নান করে।
সারা পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত পাওয়া জীবাশ্ম দেখিয়েছে যে ৫০ মিলিয়ন বছর আগে ১৭০ টি প্রজাতির হাতি ছিল। এই জীবাশ্মগুলি অস্ট্রেলিয়া এবং অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের বাকি অংশে পাওয়া গেছে।
মহিলা হাতি প্রতি চার বছর পর একটি বাচ্চা প্রসব করে। এর গর্ভকালীন সময়কাল প্রায় ২২ মাস।
সদ্য জন্ম নেওয়া হাতি প্রায় ৮৩ সেমি লম্বা এবং ১১২ কেজি ওজনের।
আফ্রিকান মহিলা হাতির গর্ভকাল হল ২২ মাস।
হাতির কানের আয়তন সত্ত্বেও এর শ্রবণ ক্ষমতা খুবই কম।
ভারতীয় হাতির চেয়ে আফ্রিকান হাতির কান বড়।
হাতি সবসময় কান নাড়াতে থাকে। কারন কানের কোষগুলো হাতির শরীর থেকে তাপ দূর করতে এটি করে।
ভারতীয় হাতির ওজন আফ্রিকান হাতির থেকে একটু কম।
হাতির গড় আয়ু ৭০বছর।
হাতি সাধারণত ৬ কিমি গতিতে হাঁটে।
হাতি দীর্ঘ সময় জলে সাঁতার কাটতে পারে।
হাতিরা দিনে ১৬ ঘন্টা জলে কাটায়।
হাতির চামড়া এক ইঞ্চি পুরু।
একটি হাতির দাঁত তার জীবন অনুযায়ী বৃদ্ধি পেতে থাকে।
No comments