প্রত্যেকের রান্নাঘরে আস্ত বা গুঁড়ো ধনিয়া থাকে। এই উপাদানটি রান্নার স্বাদ বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। রান্নায় ব্যবহার করা ছাড়াও, অনেকেই মাউথওয়াশ হিসেবে আস্ত ধনিয়া খেতে পছন্দ করেন। আর ধনিয়া পাতা ছাড়া খাবারের স্বাদ বাড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে।
এতে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, মিনারেলস, বি-ক্যারোটিনয়েডস, পলিফেনলসের মত উপকারী ওষধি গুণ রয়েছে।
ধনিয়ার পুষ্টিগুণ শরীরে ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হজমশক্তি বাড়ায়। এ ছাড়া কিডনি সুস্থ রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে, রক্তপাতের সমস্যা দূর করতে ধনিয়া সাহায্য করে।
সংক্রমণ এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এড়াতে, ধনিয়া গুঁড়ো বা আস্ত ধনিয়া ভিজানো জলের সাথে একটু গরম জল পান করুন।
এই পানীয় কিভাবে তৈরি করবেন?
১০ গ্রাম ধনে বীজ গুঁড়ো করুন। এই ধনিয়া ২ লিটার জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে একটি চামচ দিয়ে মেশান এবং তারপর জল ছেঁকে নিন। ধনিয়া পানীয় সারাদিন অল্প অল্প করে পান করুন।
এর উপকারিতা কি কি ?
ধনিয়া পানীয় হজমশক্তি বাড়ায়। এই উপাদানটিতে রয়েছে পুষ্টি উপাদান যা পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রেখে হজমশক্তি বাড়ায়। এই কারণেই পাচনতন্ত্র ভালো কাজ করে।
এই ধনিয়া পানীয়টি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষভাবে কার্যকর। যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের অবশ্যই এই পানীয়টি নিয়মিত পান করতে হবে।
এই জল বা চা পান করলে চুল মজবুত হয়। চুল ছিঁড়ে যাওয়া এবং ভেঙে যাওয়া বন্ধ করে। ধনে বীজে ভিটামিন এ, সি এবং কে সমৃদ্ধ। যা চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
আপনি যদি সকালে খালি পেটে এই জল নিয়মিত পান করেন, তাহলে আপনি দ্রুত ওজন কমাবেন।
যার শরীর সবসময় গরম থাকে এই জল নিয়মিত পান করলে উপকার পাবেন। শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা কমে যাবে।
যারা বাতের সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য সর্বোত্তম ঘরোয়া প্রতিকার হল ধনিয়া জল। এর প্রদাহরোধী উপাদান বাতের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
আপনি যদি নিয়মিত এই জল পান করেন, তাহলে আপনার কিডনি পরিষ্কার থাকবে। এর ফলে কিডনির বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
No comments