তালেবানেরা এবার সরাসরি দেশকে হুমকি দিয়েছে। তারা বলেছে, আফগানিস্তানে সৈন্য পাঠালে তার ফল ভালো হবে না। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অবশ্য বলেছে যে সে দেশে অবকাঠামো তৈরিতে দিল্লির সাহায্য প্রশংসনীয়।
সূত্র মতে জানা গিয়েছে, গজনী, হেরাত এবং লস্করগাহ দখল করার পর তালেবান ধীরে ধীরে আফগান রাজধানী কাবুলকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলছে। তালেবানরা প্রধানত ন্যাশনাল হাইওয়ে ১ দখল করে। যার মাধ্যমে খাদ্য ও সরবরাহ কাবুলে প্রবেশ করে।
একই সঙ্গে তালেবান হামলায় ঘর ছাড়া বেসামরিক লোকের সংখ্যা বাড়ছে। তালেবান-মুক্ত রাজধানী কাবুলে এখনও ভীত-সন্ত্রস্ত মানুষ জড়ো হয়। প্রায় আড়াই লাখ মানুষ প্রধানত কুন্দুজ, মাজার-ই-শরীফের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।
এখন আফগান লেখক ও খেলোয়াড়রা বিশ্বের কাছে সাহায্য চেয়েছেন। একই সঙ্গে তারা জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আফগানিস্তানের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তার নাগরিকদের উদ্ধারের জন্য ব্রিটেন ও কানাডায় ৩হাজার সেনা পাঠাচ্ছে।
আফগানিস্তানের দীর্ঘদিনের বন্ধু আমাদের দেশ ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এদিকে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশের কাছে সামরিক সহায়তা চেয়েছেন। আমাদের দেশ আফগানিস্তানে সেনা পাঠাবে কি না, তা এখনও ঠিক হয়নি।
তালেবান মুখপাত্র মুহাম্মদ সুহেল শাহিল অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছিলেন, ভারত সেনা পাঠাবে না। অন্যদিকে একজন তালেবান মুখপাত্র বলেছেন, আফগান বাহিনীর অধিকাংশই যুদ্ধে হেরে যাচ্ছে।
কিন্তু দেশের উদ্বেগ অন্যত্র। ভারতীয় নির্মিত সালমা বাঁধ এখন তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে। বামিয়ানে সেলের ৭০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প এখন বিষ বানে। একই সঙ্গে পাকিস্তান ছেড়ে দেশের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড অর্থাৎ আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক রুট আফগানিস্তান ও ইরান হয়ে ইউরোপে যাচ্ছে।তবে এখন তা তালিবানের দখলে।
No comments