করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি হয়েছে গোটা বিশ্ব। এর জন্য আমেরিকা সরাসরি চীনকে দায়ী করে। চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল যে সেখানকার ল্যাবে এই ভাইরাস তৈরি করা হয়েছিল। তবে চীন বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। করোনার জন্মের কারণ যাই হোক না কেন, তবে এটা নিশ্চিত হয়েছে যে চীন এই পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
চীন গত ৮০ বছর ধরে সমগ্র বিশ্বের জন্য মৃত্যুর পণ্য প্রস্তুত করছে। তাদের একটি ভুল এই পৃথিবীকে আগুনের গোলার মত পরিণত করতে পারে। এটা শুনে আপনি নিশ্চয়ই হতবাক হয়ে গেছেন। কিন্তু যখন আপনি জানতে পারবেন যে চীন মহাকাশে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সৌর প্যানেল পাঠাতে যাচ্ছে তখন আপনি আরও অবাক হবেন। চীন বহু বছর ধরে এই প্রকল্পে কাজ করে আসছে। কিন্তু তারা এটা মোটেই পাত্তা দিচ্ছি না যে তাদের একটি ভুল গোটা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে।
চীন এখন মহাকাশে যা করতে চলেছে, তাতে একটু অসাবধানতাও ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাতে পারে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন মহাকাশে যে সৌর প্যানেল পাঠাচ্ছে তা চার্জ হবে এবং সূর্যের আলোতে চলবে। চীন সৌর প্যানেল থেকে উদ্ভাসিত প্রতিফলিত রশ্মি সমুদ্রে ফেলে দিতে চলেছে। কিন্তু যদি এর মধ্যে সামান্য অবহেলা হয় তাহলে পৃথিবীকে ভারী ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, এই প্রতিফলিত রশ্মি পৃথিবীতে জ্বলন্ত তাপ প্রচার করবে এবং আলোর জন্য পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। পৃথিবী পুড়ে ছাই হয়ে যেতে পারে। চীন এই নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এই সোলার প্যানেলের মাধ্যমে চীন ২০৪৯ সালের মধ্যে ১জিডাব্লু শক্তি উৎপাদন করতে চায়। এটি এত বেশি বিদ্যুৎ যে গোটা শহর এটি থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারে।
অনেক বিশেষজ্ঞ দাবি করেন যে আলোর প্রতিবিম্বের অল্প ত্রুটি সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে। চীনের পরিকল্পনা হল সৌর প্যানেল থেকে প্রতিফলিত সূর্যের আলো সমুদ্রে ফেলে দেওয়া। কিন্তু যদি আলো মাটিতে পড়ে তাহলে সেখানে বিপর্যয় হতে পারে। চীনের এই উন্মাদনা আজ থেকে নয়, ১৯৪০ সাল থেকে অব্যাহত রয়েছে। আইজাক আসিমভের ধারণা থেকে চীন এই পরিকল্পনা করেছে।
এখন শুধু চীন নয়, যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরাও এই প্রকল্প তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জানা গেছে, সৌর প্যানেল থেকে সূর্যের আলো বিদ্যুতে রূপান্তরিত করে ব্যবহার করা হয়। মহাকাশে সৌর প্যানেল স্থায়ী রাখা চীনের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে কারণ মাধ্যাকর্ষণের অভাবে এটি চলতে থাকবে। চীন তার প্রকল্প সম্পর্কে খুব উচ্ছ্বসিত। চীন সরকারও বিজ্ঞানীদের এই পরিকল্পনার প্রশংসা করেছে। চীন আশ্বাস দিয়েছে যে এই পরিকল্পনায় কোনো ঝামেলা হবে না। যদি অবহেলা হয় তবে ধ্বংস নিশ্চিত।
No comments