আমরা প্রতিদিন অনেক অদ্ভুত গল্প শুনতে থাকি। কিন্তু সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি সত্যিই আপনাদের ভাবতে বাধ্য করবে যে এটি কি সত্যিই ঘটে? পুনর্জন্মের একটি ঘটনা উত্তরপ্রদেশে শোনা গিয়েছে। যেখানে চন্দ্রবীর নামে একটি ছেলে দাবি করছে যে তার পুনর্জন্ম হয়েছে।
সম্প্রতি, ১৯ আগস্ট ইউপির মাইনপুর গ্রামে একটি ছেলে মৃত ছেলের বাবার সঙ্গে দেখা করতে আসে এবং তার সঙ্গে দেখা করে নিজেকে ওই ছেলে বলে পরিচয় দিতে শুরু করে যে ৮ বছর আগে মারা গিয়েছিল।
ছেলেটির নাম চন্দ্রবীর। সে তার পুনর্জন্ম হয়েছে বলে দাবি করে । শুধু তাই নয় তার বাড়ি ও গ্রামের সকল মানুষকে সঠিকভাবে চিনতে পারে। ময়নপুরী জেলার নাগলা সালেহি গ্রামে বসবাসকারী প্রমোদ কুমার শ্রীবাস্তবের ১৩ বছরের ছেলে রোহিত কুমার ৮ বছর আগে পাশের ডোবাতে স্নান করতে গিয়ে ডুবে মারা যান। প্রমোদের মাত্র দুটি সন্তান ছিল একটি কন্যা এবং একটি পুত্র। ২০১৩ সালে তার পুত্র মারা যায়।
ছেলের মৃত্যুর পর প্রমোদ এবং তার স্ত্রী উষা দেবী তাদের মেয়ে কোমলকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। রোহিতের মৃত্যুর ৮ বছর পর নাগলা অমর সিং গ্রামে বসবাসকারী রামনরেশ শঙ্খওয়ারের ছেলে চন্দ্রবীর শঙ্খওয়ার ওরফে ছোটু বলে সে রোহিত কুমার শ্রীবাস্তব এবং সে রামনরেশ শঙ্খওয়ার বাড়িতে পুনর্জন্ম লাভ করেছে।
১৯ আগস্ট চন্দ্রবীর নাগলা সালেহি গ্রামে এসে তার পরিবার এবং গ্রামবাসীদের সঠিকভাবে চিনতে পেরেছিল এবং তাদের সঙ্গে বসে তার আগের জন্মের কথা বলতে শুরু করেছিল। এটা দেখে গ্রামের সব মানুষ চন্দ্রবীরের কথা শোনার জন্য জড়ো হয়ে ছোটুকে অতীত জীবন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে লাগল।
এদিকে, নাগলা গ্রামের প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্রও ভিড় দেখে সেখানে আসেন । তারপর চন্দ্রবীর তার পা ছুঁয়ে বলে যে ইনি সুভাষ মাস্টার সাহেব, আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক । একথা শুনে তিনিও স্তম্ভিত হয়ে গেলেন। চন্দ্রবীরের পুনর্জন্মের কাহিনী এই অঞ্চলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সবাই চন্দ্রবীর সম্পর্কে জানতে চায়।
চন্দ্রবীরের বাবার সঙ্গে কথা বলে রামনরেশ বলেছিলেন যে ছোটু ছোটবেলা থেকে পুনর্জন্মের কথা বলতেন এবং সবসময় নাগলা সালেহী আসার জন্য জোর দিত। কিন্তু আমাদের ছেলে আমাদের কাছ থেকে দূরে চলে যেতে পারে এই ভয়ে আমরা তাকে নাগলা সালেহি গ্রামে আনি নি। কিন্তু তার জেদের সামনে আমরা ছোটুকে প্রমোদের বাড়িতে নিয়ে এসেছি।
No comments