আজকাল প্রাথমিক থেকে কলেজ সব ক্লাস অনলাইনে করানো হচ্ছে। যার জন্য প্রতিটি শিশুর মোবাইলে প্রবেশাধিকার আরও সহজ হয়েছে। আগে বাবা -মা শিশুর জেদের জন্য সীমিত সময়ের জন্য মোবাইল দিত। এখন ছেলেমেয়েকে পড়াশোনার জন্য মোবাইল দেওয়া বাবা -মায়ের বাধ্যবাধকতা হয়েছে।
যদিও মোবাইলে পড়াশোনা শিশুদের চোখ এবং স্বাস্থ্যের উপর অনেক সাইড এফেক্ট ফেলছে। কিন্তু শিক্ষার জন্য তাদের মোবাইল ব্যবহার করতেই হবে। আজকের পরিবেশে শিশুদের মোবাইল থেকে দূরে রাখা সম্ভব নয়। তবে হ্যাঁ একটু চেষ্টা করলে এর ব্যবহারের সময়সীমা সীমিত করা যেতে পারে। যা তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্যও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এখানে ৫ টি এমন দরকারী টিপস রয়েছে যার সাহায্যে আপনি শিশুদের মোবাইল ব্যবহার সীমিত করতে পারবেন-
প্রায়ই বাবা-মা নিজেরাই সব সময় মোবাইলের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকেন এবং সন্তানদের সেখান থেকে সরিয়ে দিতে চান। শিশুদের মধ্যে অনুকরণের প্রবণতা দেখা যায়। তারা যেমন তাদের পিতামাতাকে করতে দেখে তারা নিজেরাও তাই করে। এই সময়ে করোনার কারণে বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই তাদের সন্তানের জন্য এমন কাজ করা বাবা -মায়ের দ্বৈত দায়িত্ব যা শিশু অনুকরণ করতে পারে।
যেহেতু এই সময়ে শিশুদের বাইরের ক্রিয়াকলাপ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকে। তাই অভিভাবকদের উচিৎ তাদের প্রচুর সময় দেওয়া। তাদের সঙ্গে ইনডোর গেম খেলুন। তাদের সঙ্গে কথা বলুন। এটি আপনার এবং সন্তানের মধ্যে মানসিক বন্ধনকে শক্তিশালী করবে যা ভবিষ্যতে খুব ভালোভাবে কাজ করবে। আপনার ঘরোয়া এবং অফিসিয়াল কাজ থেকে অবসর নেওয়ার পর মোবাইল এবং টিভিতে ব্যস্ত থাকার পরিবর্তে শিশুকে সময় দিন। ভুলও তাদের তিরস্কার বা তাদের উপর চিৎকার করবেন না।
সন্তানদের ভালো মানসিক বিকাশের জন্য তাদের ম্যাগাজিন পড়তে দিন। স্কুলের সময়ে যেখানে হোমওয়ার্ক, প্রজেক্ট, অ্যাসাইনমেন্ট এবং টিউশনের কারণে সময়ের অভাব ছিল এখন তারা বাড়িতে আছে তাই তাদের ম্যাগাজিনের চেয়ে ভালো সঙ্গী থাকতে পারে না।
করোনার কারণে শিশুরা দীর্ঘ সময় ধরে বাড়িতে থাকে।খেলাধুলার অভাবে তারা চাপের মধ্যে থাকে তাই তাদের অতিরিক্ত ভালবাসা, আদর প্রয়োজন ।
যদি শিশু খালি বসে থাকে তবে সে মোবাইল বা টিভির দিকে ছুটবে তাই তাকে একটানা ব্যস্ত রাখুন। তাকে কারুশিল্প, ইনডোর গেমস, গৃহস্থালি কাজের প্রশিক্ষণ ইত্যাদিতে ব্যস্ত রাখুন যাতে সে সময় সম্পর্কে জানতে না পারে। তার করা কাজগুলি পরীক্ষা করুন, প্রশংসা করুন এবং কখনও কখনও পুরষ্কার দিন।
No comments