চুলের যত্নে এখন চুলের সিরামের পাশাপাশি শ্যাম্পু-কন্ডিশনার যুক্ত হয়েছে। চুলকে ময়েশ্চারাইজড রাখতে সিরাম ব্যবহার করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে, এই সিরামগুলি সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চুলকে রক্ষা করে। সুতরাং আপনি বুঝতে পারবেন কেন এই সিরামগুলি এত গুরুত্বপূর্ণ স্থান নিয়েছে। যাইহোক, যদি সঠিকভাবে ব্যবহার না করা হয়, সিরাম কোন লাভ নেই। তাই দেখে নিন আপনি সব নিয়ম মানছেন কিনা।
কখন লাগাবেন
অনেকে মনে করেন সিরাম লাগালে চুল ঝলমলে হবে। তাই বাইরে যাওয়ার আগে যেকোনো সময় লাগায়। কিন্তু এতে চুলের খুব একটা উপকার হবে না। শ্যাম্পু-কন্ডিশনার লাগানোর পর ভেজা চুলগুলো নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন এবং সেই চুলে সিরাম লাগাতে হবে। সিরাম চুলে একটি স্তর গঠন করে। যাতে চারদিকের ধুলো -বালি, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি চুলকে দূষণ থেকে রক্ষা করতে পারে এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারে। সামান্য স্যাঁতসেঁতে চুলে লাগালে সিরাম ভালো কাজ করে।
কতটা লাগাবেন
বেশি লাগালে চুল তৈলাক্ত হয়ে ঝরে পড়বে। বিশেষ করে যারা সরল সোজা চুল। কোঁকড়া চুলের জন্য অবশ্য একটু বেশি সিরাম দরকার। যাইহোক, চুল সোজা হলে, ১-২ ড্রপ সিরাম যথেষ্ট।
কিভাবে লাগাবেন
সিরাম বেশ মোটা। তাই এটি হাতে নিয়ে প্রথমে দুই হাতের তালুতে ঘষুন। তারপর চুলের নিচ থেকে লাগান এবং মাঝখানে নিয়ে আসুন। কিন্তু একেবারেই মাথার তালুতে রাখবেন না। চুল পড়ে যাবে।
No comments