হাইতির বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৯৪১ -এ দাঁড়িয়েছে। ভূমিকম্পে প্রায় ৬০ হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। ৭৬ হাজার বাড়ি খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিশু সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় পাঁচ লাখ শিশু আহত হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা গত ৪৮ ঘণ্টায় আরও ৩৮ জনকে উদ্ধার করেছে। সরকার সতর্কতা জারি করেছে।
শনিবার ভারতীয় সময় বিকেল ৫ টা ২৯ মিনিটে একের পর এক আফটারশক আঘাত হানে হাইতিতে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭.২। এক মুহূর্তের মধ্যে পুরো শহর ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যায়। ভূমিকম্পের মাত্রা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এটি জ্যামাইকায় ২০০ মাইল দূরে অনুভূত হয়েছিল।
ভূমিকম্পের পরও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থামেনি। লে সেজ শহরটি ঝড় ও বৃষ্টির কারণে খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ভূমিকম্পের কম্পন অব্যাহত ছিল। ইউএস ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার ইতিমধ্যে বন্যার সতর্কতা জারি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সাধারণ মানুষ মাঠে আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে গির্জায় আশ্রয় নিয়েছে, অন্যদের শাওয়ার ক্যাপই রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের বিরুদ্ধেও সহযোগিতা না করার অভিযোগ উঠেছে।
আমেরিকার অন্যতম দরিদ্র দেশ হাইতিতে ২০১০ সালে একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। হাইতির একটা অংশ প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে যায় তখন । ২ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। সেই ভূমিকম্পের ধাক্কা এখনও কাটেনি। মনে হয় ১১ বছর আগের স্মৃতি আবার ফিরে এসেছে। হাইতি আবার এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে।
No comments