দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমছে। চলতি বছরের আগস্টের শুরু থেকে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তকরণের হার কমছে। একই সঙ্গে কমছে মৃতের সংখ্যাও। রবিবার রোগী শনাক্তের হার ১৫.১৭ শতাংশ ছিল। এই শনাক্তকরণের হার গত নয় সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদের আগে ও পরে জারি করা কঠোর বিধিনিষেধ শনাক্তকরণের হার কমিয়ে এনেছে। প্রায় সব নিষেধাজ্ঞা ইতিমধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রতিদিন আগের মতো যানবাহন, রাস্তায় মানুষের ভিড় থাকে। স্যানিটেশনও সঠিকভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে আগামী মাসের শুরু থেকে সংক্রমণ আবার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত বছর ৮ই মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছিল। এই বছরের মার্চ মাসে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানছিল। কখনও কখনও আবার সংক্রমণ হ্রাস পেয়েছিল। কিন্তু গত ঈদুল ফেতরের পর সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে। জুনের শেষে, রোগী শনাক্তকরণের হার ২০ শতাংশে নেমে আসে। এক পর্যায়ে রোগী শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
২৫ জুন থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত দৈনিক শনাক্তকরণের হার ২০ শতাংশের বেশি ছিল। এর পরে, আবারও সংক্রমণের নিম্নগামী প্রবণতা রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই শনাক্তকরণের হার আগের দিনের তুলনায় কম। একই সময়ে, গত ১০ দিন ধরে করোনায় মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। তবে শত শত মানুষ এখনও করোনার কারণে মারা যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, শনিবার সকাল ৮ টা থেকে রবিবার সকাল ৮ টার মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩৯ জন এই মারণ ভাইরাসে মারা যান। বর্তমানে ৪ হাজার ৮০৪ জন করোনার নতুন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত দেশে মোট ১৪ লক্ষ ৬১ হাজার ৯৯৬ জনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছিল। এর মধ্যে ১৩ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭৪ জন সুস্থ হয়েছেন এবং ২৫ হাজার ২৮২ জন মারা গেছেন। দেশে মৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে ১.৭৩ শতাংশ।
এই ভাইরাসের প্রথম কেস ডিসেম্বর ২০১৯ সালে চীনের উহানে রিপোর্ট করা হয়েছিল। তারপর ধীরে ধীরে এই সংক্রমণ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
No comments