কলার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সবারই কমবেশি জানা আছে। কলা খেয়ে নিশ্চয়ই এর খোসা ফেলে দেন! তবে কলার খোসার উপকারিতা জনেন কি! কলার খোসায় এমন কিছু উপাদান আছে, যা ত্বকের ব্রণ সারায়।
কলার খোসায় লুটেইন বেশি থাকে। এছাড়াও ভিটামিন এ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ক্যারোটিনয়েড সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
সেইসঙ্গে কলার খোসায় এস্টেরিফাইড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। অন্যদিকে ফেলে দেওয়া কলার খোসায় কিন্তু এ উপাদানটি থাকে। এ কারণেই কলার খোসা ব্যবহার করে, আপনি ব্রণ এবং বলিরেখা থেকে মুক্ত পেতে পারেন।
কলার খোসায় ভিটামিন এ, বি, সি, ই, পটাসিয়াম, জিংক, আয়রন এবং ম্যাঙ্গানিজ আছে। যা পুরোনো ব্রণের দাগও কমাতে পারে। এছাড়াও কলা খোসা ব্যবহারে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা যায়।
কীভাবে ব্যবহার করবেন জেনে নিন
প্রথমে ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। তারপর একটি পাকা কলার খোসা টুকরো করে কেটে নিন। খোসার ভেতরের অংশ মুখে ১০-১৫ মিনিট বৃত্তাকার গতিতে ম্যাসাজ করুন। খোসার ভেতরের দিক কালো হয়ে যাচ্ছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখুন।
যদি এমন হয়, তাহলে ওই খোসা ফেলে দিয়ে অন্য টুকরো ব্যবহার করুন। কলার খোসা ত্বকে ব্যবহারের পর কিছুক্ষণ মুখ ওভাবেই রেখে দিন। অন্তত ৪-৫ ঘণ্টা মুখ না ধুয়ে রেখে দিন।
এজন্য রাতে ঘুমানোর আগে এটি করতে পারেন। তারপর সকালে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিন কলার খোসা ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
কলার খোসার আরও কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন-
মশার হাত থেকে মুক্তি পেতে ত্বকের খোলা স্থানে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়াও কলার খোসা ব্যবহারে অর্শ্বরোগ, অ্যাকজিমা ও সোরিয়াসিসের চিকিৎসা করতে পারেন।
পায়ের গোড়ালি ফাটা ঠিক করার জন্যও আপনি কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন।
কলার খোসা পটাসিয়াম সমৃদ্ধ এবং প্রদাহবিরোধী। এটি সানবার্ন দূর করতেও ব্যবহার করতে পারেন।
No comments