এখন স্পাই মিটার শুধু বাড়িতে নয়, এলাকার প্রতিটি ট্রান্সফরমারে বসানো হবে। এর মাধ্যমে, ট্রান্সফরমারগুলির এনার্জি অ্যাকাউন্ট খোলা হবে। যাতে, ট্রান্সফরমার এবং এর সঙ্গে সংযুক্ত ফিডারে প্রাপ্ত বিদ্যুতের ভোক্তাদের মিটার রিডিংয়ের পার্থক্যের ভিত্তিতে চুরি শনাক্ত করা যায়। এভাবে বিদ্যুৎ চোরদের সহজেই ধরা যাবে। বিদ্যুৎ চুরি ঠেকাতে ইউপিপিসিএল এই স্কিমের কাজ শুরু করেছে।
বাড়িতে বিদ্যুৎ চুরি এখন সহজেই ধরা যাবে। এর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ একটি অনন্য উপায় খুঁজে পেয়েছে। যেসব রাস্তায় ট্রান্সফরমার আছে সেখানে বিভাগ ইলেকট্রনিক মিটার বসিয়ে প্রতিটি বাড়ির রিডিংয়ে নজরদারি করবে। যদি বিদ্যুৎ বিভাগ গৃহস্থালির মিটার এবং ট্রান্সফরমারে লাগানো মিটারে কোন পার্থক্য পাওয়া যায়, তাহলে চুরি সহজেই ধরা পড়বে।
শহরের সাতটি বিভাগে ৩.৫০ লাখেরও বেশি বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। সাম্প্রতিক প্রচার অভিযানের সময়, অনেক বাড়িতে স্থাপন করা মিটারে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ধরা পড়ে। এই ধরনের যন্ত্র দিয়ে মিটার বাইপাস করে বিদ্যুৎ চুরির ঘটনা ধরা পড়ে। এর বাইরেও ক্যাবল ক্রস করে বিদ্যুৎ চুরি করা হচ্ছিল। ঘরে বসানো মিটারে রিডিং কমানোর এই বিভ্রম ভাঙতে এখন বিদ্যুৎ বিভাগ নতুন পরিকল্পনা তৈরি করেছে।
এখন উপনিবেশগুলি ছাড়াও, রাস্তায় এবং এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ট্রান্সফরমারগুলিতে ইলেকট্রনিক মিটার স্থাপন করা হবে। এই ধরনের মিটার স্থাপনের পর সংশ্লিষ্ট ট্রান্সফরমারে সরবরাহ করা বিদ্যুৎ এবং সেই এলাকার গ্রাহকদের বাড়ির মিটারের রিডিং সমান হবে।
তাই যদি সরবরাহ এবং ভোগের মধ্যে পার্থক্য পাওয়া যায়, তাহলে আধিকারিকরা চেক করে বিদ্যুৎ চুরি করা গ্রাহককে সহজেই ধরতে সক্ষম হবেন। শীঘ্রই এটি শহরের সকল বিভাগে বাস্তবায়িত হবে।
No comments