দশেরার দিন রাবনের কুশপুতুল সারা দেশে পুড়ানো হয়।তবে আমাদের দেশে একটি গ্রাম আছে যেখানে রাবণ পোড়ানো হয় না কিন্তু তার পূজা করা হয়।এই গ্রামের মানুষ প্রাচীনকাল থেকে রাবণের পূজা করে আসছে। যদিও সারা দেশে দশেরা খুব আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালিত হয় কিন্তু এই গ্রামের মানুষেরা দশেরার দিনে খুব অসহায় থাকে এবং সেই দিন বিভিন্ন ধরণের পূজা করে ।
মন্ডলা জেলার বন গ্রাম ডুঙ্গরিয়ায় রাবণকে দশেরার দিনে পূজা করা হয়।তাকে গন্ডোয়ানা রাজ্যের মহান সম্রাট একজন মহান পণ্ডিত,এবং তাদের পূর্বপুরুষ হিসাবে বিবেচনা করে। এখানে রাবণের একটি মন্দিরও নির্মিত হয়েছে। রাবণের অনুসারীরা এটিকে একটি বিশাল মন্দিরে রূপান্তরিত করতে চায়।
দশেরার দিন যখন সারা দেশে রাবণের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়, তখন গ্রামের এই ছোট্ট মন্দিরে রাবণের পূজা করা হয় এবং তার নামও জপ করা হয়। এখানকার লোকেরা বলে যে রাবণ ছিলেন একজন মহান পণ্ডিত, একজন মহান সাধক, বেদের শিক্ষক, একজন শক্তিশালী, দয়ালু রাজা। তারা রাম-রাবণের যুদ্ধকে আর্য ও দ্রাবিড়ের যুদ্ধ বলে মনে করে। তারা রাবণকে তাদের পূর্বপুরুষ হিসাবে পূজা করে বলে জানিয়েছেন।
No comments