রাখীবন্ধন উৎসবের আগে বাজারে অভিনব রাখি এসেছে। এদিকে দূর্গাপুরের বেনাচিতি বাজার মাতিয়ে তুলল এসি রাখি। তাপমাত্রা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত না হলেও হাতের পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে শীতলতার অনুভূতি ছড়িয়ে পড়বে। দাম মাত্র ৫০ টাকা। বিভিন্ন কার্টুনের ছবির রাখি তরুণদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। ছোটা ভীম এবং স্পাইডারম্যানের মতো সুপারহিরোদের রাখি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাতে জ্বলে উঠবে লাইট। ডোরেমন, অ্যাংরি বার্ডস, ডোনাল্ড ডাক, টেডি বিয়ার্স রাখিও এসেছে ।
কিন্তু এই বছর এসি রাখির চাহিদা বেশি। বিক্রেতা বলেছেন, এই রাখির বিশেষত্ব হল প্লাস্টিকের ভিতরে মেন্থল বা পুদিনা পাতার গুঁড়া থাকে। যা ঠান্ডার অনুভূতি দেয়। রাখি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেলুনের মতো ফুলে উঠবে যখন মেন্থল উপর থেকে চাপা দিয়ে ফেটে যাবে। এর পর হাতে রাখি বাঁধা মাত্রই শীতলতার অনুভূতি দিবে। এজন্যই আমি এর নাম দিলাম এসি।
বিক্রেতাদের দাবি, মহামারীর কারণে উৎসবের উল্লাস ম্লান হয়ে গেছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে বাজারে প্রায় কোন বিক্রেতা নেই। রাখীবন্ধনের এই উৎসব জীবন বাঁচানোর শপথ। বোনেরা এই দিনটি তাদের ভাইয়ের জীবনের শুভেচ্ছার সঙ্গে উদযাপন করে।
ব্রিটিশ শাসনামলে দেশে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা মারাত্মক মোড় নেয়। সেই সময় ১৯০৫ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গভঙ্গ রোধে রাখীবন্ধন উৎসব উদযাপন করেছিলেন। দুই হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখতে রাখিবন্ধন উৎসব শুরু হয়েছিল। এরপর থেকে রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন সময়ে রাখীবন্ধন উৎসব পালন করে আসছে। এমনকি উৎসবের মরসুমে, দুর্গাপুর বাজারে এসি রাখি খুব আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
No comments