এই পৃথিবীতে এমন অনেক রহস্যময় স্থান আছে, যেগুলোকে বলা হয় ভূতুড়ে। বলা হয়ে থাকে যে, মৃত্যুর পর এই জায়গাগুলোতে আত্মারা বেঁচে থাকে, যারা কাঁদতে কাঁদতে তাদের অতীত বর্ণনা করে। কিন্তু আত্মারা কি সত্যিই কাঁদে? পশ্চিম দিল্লিতে বসবাসকারী লোকেরা জানিয়েছেন, হ্যাঁ। আপনি যদি রাতে খুনি নদীর আশেপাশে থাকেন, তাহলে আপনি আত্মাদের ভয়ানক শব্দ শুনতে পারবেন। খুনি নদী নাম শুনলেই আন্দাজ লাগানো যায় যে জায়গাটা ঠিক সুবিধার নয়।
এই রক্তাক্ত নদী কোথায়?
খুনি নদী একটি ছোট ধারা। এই নদী খুঁজে পাওয়া খুব একটা কঠিন কাজ নয়। রোহিণী জেলার কাছে পশ্চিম দিল্লি এলাকায় প্রবাহিত হতে দেখা যায় এই নদীকে। চারদিকে সবুজে ঘেরা এবং দর্শনীয় দৃশ্যে এই নদীটিকে ভূতুড়ে বলে মনে করা হয়। স্থানীয়দের মতে, এখানে অনেক অস্বাভাবিক এবং রহস্যময় ঘটনা ঘটে, যা যে কারও হৃদয় কাঁপিয়ে দিতে পারে। এই কারণেই এত সুন্দর জায়গা হওয়া সত্ত্বেও, আপনি খুব কমই কাউকে এই এলাকায় হাঁটতে দেখবেন। কারণ মানুষ এই নদীর আশেপাশে হাঁটতেও ভয় পায়।
জল স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে নদী টেনে নিয়ে যায় ভিতরে!
স্থানীয়রা বিশ্বাস করে যে যদি কেউ খুনি নদীর জল স্পর্শ করে, তাহলে এই স্রোত সেই ব্যক্তিকে ভিতরে টেনে নেয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন যে এর আগেও এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে মানুষ এই ছোট্ট স্রোতে ডুবে গেছে।
তবে এই ধরনের মৃত্যু আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মহত্যা বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু তবুও মানুষ বিশ্বাস করে যে, এখানে যারা মারা যায় তাদের আত্মা ঘুরে বেড়ায় এবং তারা এখানে আসা মানুষকে ভয় দেখায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরও দাবি করেন যে তারা অন্ধকারের পরে নদী এলাকার কাছে পৈশাচিক চিৎকার শুনেছে। এখানে একটি মর্মান্তিক তথ্য লক্ষণীয় যে এই নদীর গভীরতা খুবই কম, তবুও ডুবে যাওয়ার কারণে দুর্ঘটনার ঘটনা বেশি।
No comments