দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আদিবাসী এলাকায় মাটির ঘরে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে আবার কালাজ্বরের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে। জেলার একমাত্র হিলি ব্লক বাদে বংশীহারী, কুশমণ্ডি এবং তপন সহ প্রায় সব ব্লকেই উপজাতি এলাকার স্বাস্থ্যকর্মীদের জরিপ প্রতিবেদনে কালাজ্বরের রিপোর্ট রয়েছে। উপজাতি এলাকায় এই রোগ দ্রুত ছড়াচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জেলায় কালাজ্বর নির্মূলের জন্য অলচিকি ভাষায় একটি সচেতনতা অভিযান শুরু করেছে।
সরকারের ইন্দিরা আবাস প্রকল্পের মাধ্যমে সেসব এলাকার মাটির ঘরে বসবাসকারী আদিবাসীদের জন্য কিভাবে পাকা ঘর তৈরি করা যায় সেই চিন্তাই করছে জেলা প্রশাসন । জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এলাকায় কালাজ্বরের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। করোনার কারণে স্বাস্থ্য বিভাগের কাজ বেড়ে যায়। ফলে গত বছর থেকে কালাজ্বর নিয়ন্ত্রণে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা মনে করছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ইতিমধ্যেই ২২ জন কালাজ্বরের কবলে পড়েছে। এর মধ্যে চলতি মাসে বংশীহারী ব্লকের চৌঘরিয়া গ্রামে পাঁচ জন কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ সেখানে একটি মেডিকেল টিম পাঠিয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ আঞ্চলিক এলাকায় অলচিকি ভাষায় একটি সচেতনতা অভিযান চালাচ্ছে। মূলত আদিবাসী এলাকায় সচেতনতার অভাবে কালাজ্বর ছড়িয়ে পড়ছে। তাই অলচিকি ভাষায় বিভিন্ন সচেতনতামূলক ফ্লেক্স, ব্যানার ও লিফলেট তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এগুলো জেলার আদিবাসী এলাকায় প্রচার করা হবে।
No comments