যারা করোনা ভাইরাসকে পরাজিত করার পর সুস্থ হয়ে উঠেছে তাদের চিন্তা করতে এবং মনোনিবেশ করতে সমস্যা হতে পারে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড -১৯ এর গুরুতর উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিরা অনলাইন পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছে এবং এটি তাদের কর্মক্ষমতা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতাকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে।
এতে বলা হয়েছে, যাদের হাসপাতালে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল তাদের মধ্যে জ্ঞানীয় ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। যুক্তরাজ্যের ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অ্যাডাম হ্যাম্পশায়ার এবং গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান লেখক বলেছেন, "আমাদের গবেষণায় কোভিড -১৯ এর বিভিন্ন দিকের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে যা মস্তিষ্ক এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। গবেষণা নির্দেশ করে যে মস্তিষ্কে কোভিড -১৯ এর কিছু উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে যা আরও তদন্তের প্রয়োজন।"
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লুএইচও) বলেছে, তারা শীঘ্রই অন্যান্য রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত তিনটি ওষুধ পরীক্ষা করে দেখবে যে তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকেও সাহায্য করতে পারে কিনা। সংস্থাটি বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, কোভিড -১৯ এর সম্ভাব্য চিকিৎসা শনাক্ত করতে গবেষণার পরবর্তী পর্যায়ে তিনটি ওষুধ নেওয়া হবে। এই ওষুধগুলি একটি স্বাধীন কমিটি নির্বাচন করবে এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মানুষের মৃত্যু রোধ করার ক্ষমতা আছে কিনা তার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হবে। তিনটি ওষুধ হল, ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত 'আর্টিসুনেট', ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত 'ইমাটিনিব' এবং 'ইনফ্লিকিম্যাব' যা বর্তমানে ইমিউন সিস্টেম রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ব্যpবহৃত হয়।
No comments