রাত হলেই জেগে উঠত একটা গোটা পাড়া। দিনের পর দিন পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছিল যৌন ব্যবসা। তবে বুধবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পশ্চিমবঙ্গ কমিশন ফর প্রটেকশন অব চাইল্ড রাইটস (WBCPCR) এর চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে নিয়ামতপুরের লছিপুর যৌন পল্লীতে অভিযান চালানো হয়। পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন এবং আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ সেখানে নাবালিকাদের দিয়ে দেহ ব্যবসা চালানো হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায়। জানা গেছে, অভিযানে প্রায় ৩৫ জন নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে। অনেক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযানের পর WBCPCR এর চেয়ারপারসন অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, তাদের কাছে খবর ছিল ৫ থেকে ৪ জন নাবালিকাকে এখন আটকে রাখা হয়েছে। তবে তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩৫জন নাবালিকা। তদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উদ্ধার করা নাবালিকাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের পরীক্ষা করে হোমে পাঠানো হবে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিভু গোয়েল বলেন, করোনা বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে এই অনৈতিক কাজ চালানো হচ্ছিল। কমিশনের তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তের জন্য জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের একটি দল গঠন করা হয়েছিল। তার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ কমিশনার অজয় কুমার ঠাকুর বলেন, নাবালিকাদের দিয়ে দেহ ব্যবসা চালানো হচ্ছিল এমন তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়েছিল। উদ্ধারকৃত নাবালিকাদের বয়স যাচাই করার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিয়ামতপুরের লছিপুর যৌনপল্লী নামেই পরিচিত। পুলিশের নজরদারিতে শিথিলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমনকি ৩৫ জন নাবালিকাকে সেখানে রাখা হয়েছে কীভাবে এই তথ্য ফাঁস হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ।
জানা গেছে, উদ্ধারকৃত নাবালকদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হচ্ছে। এরপর তাদের হোমে রাখা হবে। সেখান থেকে বাড়ির ঠিকানা উদ্ধার করে তাদেরকে তাদের বাবা -মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে। অভিযানে মোট ৫০ জন মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানের সময় পুলিশ বেশ কয়েকজন গ্রাহককেক গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই নাবালক বলে জানা গেছে।
No comments