নবনির্বাচিত বিজেপি প্রধানের জাতি শংসাপত্র জাল, এই অভিযোগ তুলে সরব অপসারিত পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে দলের নেতারাই এ কাজ করেছেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি মানিকচক ব্লকের চৌকি মিরদাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। আর এই ঘটনা ঘিরে প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। যদিও টাকা নিয়ে প্রধান পরিবর্তনের কথা অস্বীকার করেছেন মানিকচক এর মন্ডল সভাপতি অভিরাম মন্ডল।
প্রধান অপসারণ নিয়ে মানিকচকের বিজেপি নেতৃত্বের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৭ টি আসনের মধ্যে ৯ টি আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। ৭ টি আসন পায় বিজেপি ও একটি আসনে জয়লাভ করে কংগ্রেস। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের আসনটি তপশিলি জাতির জন্য বরাদ্দ থাকায় প্রধান নির্বাচিত হন বিজেপির মাম্পি রজক।
তবে আড়াই বছর হতেই মাম্পি রজকের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন বিজেপির সদস্যরা। সেই অনাস্থার তলবি সভায় অপসারিত হন মাম্পি রজক। প্রধান নির্বাচিত হন বিজেপির সুকনি সাহা। আর এই নিয়ে প্রকাশ্যে চলে আসে বিজেপির অন্দরের কোন্দল। যদিও প্রধান অপসারণ নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল।
তিনি বলেন, নিয়ম মেনেই প্রধানের অপসারণ করা হয়েছে। স্থানীয় নেতৃত্ব পাশে রয়েছে জেলা কমিটি। বিজেপির এই অন্তঃকলহ কে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। এই বিষয়ে মালদা জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র জানিয়েছেন, বিডিও অফিসে এস সি সার্টিফিকেট দিয়ে একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
No comments