শাশুড়ি-বৌমার সম্পর্ক এই পৃথিবীতে সবচেয়ে নাজুক সম্পর্ক। সামান্য ভুল বোঝাবুঝি বা ঝগড়াও শুধু দুজনের সম্পর্কই নষ্ট করে না, পুরো পরিবারই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। তাই এই সম্পর্কের মধ্যে মা-মেয়ের ভালোবাসা থাকাটা খুবই জরুরি। বিয়ের পর একজন কনের জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ হল তার শাশুড়ির সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা। তবে শাশুড়ি ও পুত্রবধূ দুজনেই যদি একটু চেষ্টা করেন, তাহলে সেটা তেমন কঠিন কাজ নয়। এমন পরিস্থিতিতে, আজ আমরা আপনাকে এমন ৭ টি টিপস বলব যা শাশুড়ি এবং পুত্রবধূর সম্পর্ককে মজবুত করতে পারে।
১) যেদিন পুত্রবধূ চলে যাওয়ার পর স্বামীর বাড়িতে আসবে, সেদিন থেকে শাশুড়ি ও পুত্রবধূর সম্পর্ক মা-মেয়ের মতোই হবে এমনটা জরুরি নয়। এটি একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া যা একটি সম্পর্ক তৈরি করতে কিছুটা সময় নেয়।
২) বর্তমান সময়ে শাশুড়ির সম্পর্ক অনেকটাই বদলে গেছে, এমন পরিস্থিতিতে আপনি আপনার শাশুড়ির সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক শুরু করতে পারেন।
৩) প্রতিটি সম্পর্ককে দুর্বল করার জন্য একটি ভুল বোঝাবুঝিই যথেষ্ট। এমন পরিস্থিতিতে শাশুড়ির নাজুক সম্পর্কের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি বাড়তে দেবেন না। চেষ্টা করুন, বিষয় যাই হোক না কেন, একে অপরের প্রতি বিদ্বেষ অন্তরে না রেখে বসে বসে সমাধান করা উচিত।
৪) শাশুড়ি হোক বা পুত্রবধূ, উভয়েরই একে অপরের সাথে জিনিস শেয়ার করা উচিত। এটি আপনার বন্ধু বা আপনার পরিবারের সাথে সম্পর্কিত হোক না কেন, একে অপরের সাথে জিনিস ভাগ করে নেওয়া তাদের উভয়ের সম্পর্ককে মধুর করে তোলে।
৫) নতুন বাড়িতে মানিয়ে নেওয়া সদ্য বিবাহিত পুত্রবধূর জন্য কিছুটা কঠিন হতে পারে। এমতাবস্থায় আমাদের শাশুড়ির পরামর্শ নিতে হবে, কারণ তিনি সেই বাড়িটিকে বছরের পর বছর ধরে চালন করেছেন। এমতাবস্থায় ঘরের লাগাম নেওয়ার আগে বা কোনো কাজ করার আগে অবশ্যই শাশুড়ির মতামত নিতে হবে।
৬) একে অপরকে বড় উপহার দেওয়ার দরকার নেই, তবে ছোট উপহারও আপনার সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে পারে। আপনি যদি বেড়াতে বের হয়ে থাকেন, তাহলে আর কিছু না, আপনার শাশুড়ি বা পুত্রবধূর জন্য এক সেট চুড়ি নিন বা তাদের পছন্দের উপহার কিনুন।
৭) মা-ছেলের সম্পর্কে ফাটল সৃষ্টির চেষ্টা করবেন না। অনেক সময় এমন হয় যে শাশুড়ির কথা আপনার খারাপ লাগে, কিন্তু এমন সময়ে পুত্রবধূর সংযম করা উচিত এবং স্বামীকে এমন সব কথা বলা উচিত নয়, যা তার মন খারাপ করে। যতই অভিযোগ থাকুক, শাশুড়ির সঙ্গে বসে সমাধান করতে হবে।
No comments