আমাদের রান্নাঘরে অনেক ধরনের তেল ব্যবহার করা হয়। সবজি, পুরি-পরাঠা তৈরি থেকে শুরু করে অনেক দেশীয় রেসিপিতেও ব্যবহার করা হয়। সরিষার তেলও তাদের মধ্যে একটি, যা স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্যও পরিচিত। সরিষার তেল, যা কড়া তেল নামে পরিচিত, এর একটি গরম প্রভাব রয়েছে। শীতকালে সবজিতে সরিষার তেল ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু এই তেল শুধু সবজিতেই নয়, নাভি ও পায়ের পাতায় লাগালে অনেক রোগের সমাধান হয়। তাহলে চলুন আজ আপনাদের জানাই কিভাবে ১ ফোঁটা সরিষার তেল আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি ।
পায়ের তলে সরিষা মালিশ করুনঃ
প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে শিশুদের পায়ের তলায় সরিষার তেল মালিশ করলে তাদের যেমন ঠান্ডা লাগে না, তেমনি তাদের সর্দি-কাশিও ভালো হয়। পায়ের তলের কিছু নার্ভ পাকস্থলী এবং হৃৎপিণ্ডের সাথে সংযুক্ত থাকে। যার কারণে হজম ও পাকস্থলী সংক্রান্ত সমস্যাও দূর হয় সরিষার তেল মালিশ করলে। শুধু তাই নয়, বয়স্কদের কথা যদি বিশ্বাস করা হয়, তাহলে পায়ের তলদেশে মালিশ করলে আপনার সন্তানের মস্তিষ্ক প্রখর হয়।
সরিষার তেল সবচেয়ে ভালো ময়েশ্চারাইজারঃ
সরিষার তেল ত্বকের জন্য দারুণ ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকে লাগালে শুষ্ক মুখ উজ্জ্বল হয়। এছাড়াও সরিষার তেলে বেসন ও হলুদ মিশিয়ে সপ্তাহে ১ দিন লাগালে ত্বকের রং ভালো হয়। প্রতিদিন ঘুমানোর সময় ঠোঁটে সরিষার তেল মালিশ করলে ঠোঁট নরম হয়। এর পাশাপাশি সরিষার তেলে অ্যান্টি-এজিং উপাদান পাওয়া যায়। রোজ রাতে তেল মেখে ঘুমালে ত্বক টানটান হয়ে যায় এবং ত্বক তরুণ দেখায়।
নাভিতে রোজ ১ ফোঁটা তেল দিনঃ
প্রতিদিন নাভিতে সরিষার তেল লাগালে ঠোঁট নরম ও গোলাপি হয়। এর পাশাপাশি এটি চোখের জ্বালাপোড়া, চুলকানি এবং শুষ্কতাও নিরাময় করে। আপনার শরীরে প্রদাহের সমস্যা থাকলে নাভিতে সরিষার তেল লাগালে প্রদাহের সমস্যাও দূর হয়। এটি হাঁটুর ব্যথায়ও উপশম দেয়। এছাড়া এটি লাগালে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং ব্রণ,মুখের দাগ সেরে যায়। পিরিয়ডের সময় খুব ব্যথা অনুভব করলে একটি তুলোর মধ্যে সামান্য তেল দিয়ে নাভিতে লাগালে এই ব্যথা সঙ্গে সঙ্গে চলে যায়।
No comments