আয়ুর্বেদ ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা নিউমোনিয়ার চিকিৎসার পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারি।আমাদের রান্নাঘরে এমন অনেক জিনিস রয়েছে, যা আমাদের নিউমোনিয়া থেকে রক্ষা করে।এগুলি যদি আমরা সঠিক ভাবে আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করি, তাহলে শিশুদের নিউমোনিয়া থেকে বাঁচানো যায়-
১.হলুদ:
হলুদ রান্নাঘরের একটি সাধারণ মসলা যার বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধ করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে।হলুদ অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং মিউকোলাইটিক হিসেবেও কাজ করে। এর ব্যবহার ব্রঙ্কিয়াল টিউব থেকে শ্লেষ্মা এবং পিত্ত অপসারণে সহায়তা করে। এটি দুধের সাথে বা চা হিসাবে খাওয়া যেতে পারে।
২.মধু:
মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য। যা কাশি এবং শ্লেষ্মা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
৩.সরিষা তেল
সরিষার তেলে কয়েক কোয়া রসুন গরম করে সেই তেল দিয়ে শিশুর বুকে মালিশ করলে নিউমোনিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৪. আদা:
আদার মধ্যে রয়েছে প্রায় 25 ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের বিভিন্ন অংশে বিষাক্ত কণার বিরুদ্ধে লড়াই করে। গরম জলে আদার টুকরো মিশিয়ে বা আদার রস মিশিয়ে খেলে নিউমোনিয়া সংক্রমণও কমে যায়।
৫.মেথি:
মেথি জলে সিদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে তাতে কিছু পরিমান মধু মিশিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার পান করলে জ্বরের উপশম হয়।
No comments