রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আমরা কী করি আর কি করিনা! বাজারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ওষুধের বন্যা বাড়িতে নিয়ে আসি।
প্রকৃতপক্ষে, শরীরে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ভাইরাসের মতো বাহ্যিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই বা নির্মূল করার জন্য ইমিউনিটি ব্যবহার করা হয়।যদি কোনো ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ইত্যাদি শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে অর্থাৎ রক্তে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় হয়ে যায়।
একভাবে, এটি একটি সেনাবাহিনীর মতো কাজ করে। হেলথলাইনের খবর অনুযায়ী, যখন শরীরে বাহ্যিক আক্রমণ হয়, তখন এটি তার সেনাবাহিনীকে তা নির্মূল করার নির্দেশ দেয়।এটি ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কাজ শেষ করার পর ফিরে আসে।
কিন্তু অনেক সময় এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিপরীতভাবে কাজ করে।এটি নিজের কোষকে হত্যা করতে শুরু করে। এটাকে বলা হয় অটোইমিউন ডিজিজ।
অনেক ধরণের অটোইমিউন রোগ রয়েছে। টাইপ -১ ডায়বেটিসও একটি অটোইমিউন রোগ।একইভাবে আর্থ্রাইটিস, সোরিয়াসিস, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, অ্যাডিসন ডিজিজ, গ্রেভস ডিজিজ ইত্যাদি অটোইমিউন রোগ। রোগের তীব্রতার উপর নির্ভর করে, অটোইমিউন রোগ বিপজ্জনক হতে পারে।
অটোইমিউন রোগের লক্ষণ কি কি?
প্রতিটি অটোইমিউন রোগের লক্ষণ আলাদা। অটোইমিউন রোগের কিছু উপসর্গ একই রকম হতে পারে যেমন জয়েন্টে ব্যথা এবং ফোলা, ক্লান্তি, জ্বর, ফুসকুড়ি, অস্থিরতা ইত্যাদি। খিদে না পাওয়া, হাত -পা কাঁপা, চুল পড়া, ত্বকে ফুসকুড়ি ইত্যাদি অটোইমিউন রোগে সাধারণ লক্ষণ। এই রোগের লক্ষণ ছোটবেলায়ও দেখা যায়।
কারা বেশি ঝুঁকিতে থাকে :
যাদের পরিবারে এটি ইতিমধ্যে উপস্থিত, এই রোগের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎ বংশগতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অটোইমিউন রোগ শনাক্তকরণ করতে আর অটোইমিউন রোগ নির্ণয়ের জন্য, ডাক্তাররা রোগীর সম্পূর্ণ চিকিৎসা ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান।
সুষম খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন:
যেকোনো ধরনের অটোইমিউন রোগে সুষম খাদ্য গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এর জন্য পুরনো চাল, যব, ভুট্টা, রাই, গম, বাজরা, ভুট্টা এবং দালিয়া খাওয়া উপকারী।এছাড়া মুগ ডাল, মসুর ডাল এবং কালো মসুর ডাল খাওয়াও উপকারী। মটর এবং সয়াবিনও উপকারী। ফল এবং সবজির মধ্যে আপেল, পেয়ারা, পেঁপে, চেরি, বেরি, এপ্রিকট, আম, তরমুজ, অ্যাভোকাডো, আনারস, কলা, পারওয়াল, লাউ, কুমড়ো,ব্রকলি খাওয়া দরকারী।
No comments