আপেলের খোসা হল খনিজ সমৃদ্ধ। আমরা অজান্তেই হয়তো ঐ খোসা ফেলে দিয়ে থাকি।
আপেলের খোসায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ফোলেট এবং আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ।
এই খনিজগুলি যেমন ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস ব্যবহার হাড় এবং দাঁতকে খুব শক্তিশালী করে। আপেলের খোসায় উচ্চ রক্তচাপ মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক উপাদান ছয় গুণ পর্যন্ত থাকে।
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে খোসার সাথে প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়া উচ্চ রক্তচাপে দারুণ স্বস্তি দেয়।
হার্টের জন্য উপকারী:
আপেলের খোসা দীর্ঘদিন ধরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্লেভোনয়েডের একটি খুব প্রাকৃতিক উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। যা হার্টের জন্য খুবই ভালো বলে মনে করা হয়।
গবেষণাগারদের মতে, আপেলের খোসা অপসারণ করা মানে তার উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হওয়া।
কোলেস্টেরল কমে :
খোসার সমেত আপেল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ, ভিটামিন এবং ফাইবার পাওয়া যায়, যা দুর্বলতায়ও খুব উপকারী।
এছাড়াও, আপেলের খোসায় পেকটিন নামক রাসায়নিক পাওয়া যায়, যা রক্তে কোলেস্টেরল এবং শর্করার মাত্রা খুব কম রাখে।
কানাডার কৃষি ও এগ্রো ফুড ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের মতে, খোসায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ অভ্যন্তরীণ অংশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি পাওয়া যায়, তাই আপেল খোসা না ছাড়িয়ে, খোসাসহ আপেল খেলে তা খুবই উপকারী।
আপেলের লাল খোসা ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। কারণ চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ায় এবং কোষ বিভাজনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াগুলি করে।
ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতে, আপেলের খোসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আমাদের শরীর শক্তিশালী করতে ইমিউন সিস্টেম তৈরির জন্য ভিটামিন সি দরকার, যা আপলের খোসায় বিদ্যমান।
No comments