আপনি যদি গ্লুটেন ফ্রি ডায়েট অনুসরণ করেন, তবে রাইস নুডুলস কার্বোহাইড্রেটের একটি ভালো উৎস। এতে আপনি সুবিধা পাবেন।রাইস নুডুলসে ক্যালোরি ও চর্বি কম থাকে। এক কাপ রান্না করা রাইস নুডুলসে 190 ক্যালোরি থাকে। রান্না করা ভাত খেলেও আপনি একই সংখ্যক ক্যালোরি পান। রাইস নুডুলসে রয়েছে ভালো পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম, কপার এবং ফসফরাস, যা আপনার উপকার করে। আপনি যদি গ্লুটেন ফ্রি ডায়েটে থাকেন তবে রাইস নুডুলস খাওয়া আপনার জন্য স্বাস্থ্যকর হবে।
কম সোডিয়াম গ্রহণ
রাইস নুডুলসে সোডিয়াম কম থাকে। এই খনিজটি একটি অপরিহার্য পুষ্টি এবং ইলেক্ট্রোলাইট, তবে এটি অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে ক্ষতি হতে পারে। এতে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। রাইস নুডলস সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ। এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি থাইরয়েড ফাংশন এবং ইমিউন স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।
রাইস নুডলস বনাম গম-ভিত্তিক নুডলস
আপনি ডায়েটে রাইস নুডুলস অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন এবং এটি খেলে আপনার ক্ষতি হবে না। এতে গমের নুডলসের তুলনায় কম চর্বি এবং কম ক্যালোরি রয়েছে। কিন্তু রাইস নুডুলসে কম পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, সোডিয়াম এবং নিয়াসিন থাকে গম-ভিত্তিক নুডলসের তুলনায়।
যেহেতু রাইস নুডুলসে কম পরিমাণে ফাইবার থাকে, তাই এটি খেলে তেমন উপকার হবে না। অন্ত্রের স্বাস্থ্য, হজম এবং রক্তে শর্করার ব্যবস্থাপনার জন্য ফাইবার অপরিহার্য। এর ফলে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস) সমস্যা হতে পারে।
ফাইবার উপাদানের জন্য হোল গমের নুডুলস বেশি উপকারী। গবেষণা অনুসারে, অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার অপরিহার্য। এটি পাকস্থলীর ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়ায় এবং হজমে সাহায্য করে। এটি ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
No comments