গুড় এবং ছোলা আলাদা করে খেলে শরীর অনেক উপকার পায়। এই দুটো একসাথে খেলে তাদের উপকারিতা দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
গুড় এবং ছোলা একসঙ্গে খেলে এটি একটি সুপার ফুডের মতো কাজ করে। ভাজা ছোলা কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং আয়রন সমৃদ্ধ। এতে ফাইবারের পরিমাণও খুব ভালো। এজন্য ভাজা ছোলা খাওয়া হয়।
গুড়ের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ এবং বি। এছাড়া সুক্রোজ, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, আয়রনও প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
একসঙ্গে গুড় ও ছোলা খাওয়ার উপকারিতা কি চলুন দেখে নেওয়া যাক :
গুড়-ছোলা শরীরে ওষুধের মতো কাজ করে। আমাদের শরীরে অনেক পুষ্টির প্রয়োজন পূরণ হয়, প্রতিদিন যদি গুড় ও ছোলা অল্প পরিমাণে খেলে।
শারীরিক দুর্বলতা দূর করে:
গুড় ও ছোলা একসঙ্গে খাওয়া হলে রক্তশূন্যতা রোগ এড়ানো যায়। হিমোগ্লোবিনের অভাব প্রায়ই মহিলাদের মধ্যে দেখা যায়। তাই শরীরে হিমোগ্লোবিনের খাটতি পূরণের জন্য প্রতিদিন গুড় এবং ছোলা খাওয়া উচিত।
গুড়-ছোলা আয়রন এবং প্রোটিনের এক চমৎকার সমন্বয়:
আয়রন ও প্রোটিন প্রচুর পরিমাণে গুড় এবং ভাজা ছোলাতে পাওয়া যায়। প্রোটিন শরীরে নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে এবং গুড় শরীরে শক্তি জোগায়, যার কারণে শরীরে শক্তি স্থির থাকে। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে না।
গুড়-ছোলা হাড়কেও মজবুত করে:
হাড় মজবুত করতে প্রতিদিন এক মুঠো ছোলা ও গুড় খাওয়া উচিত। ৪০ বছর বয়সের পরে, শরীরের হাড়গুলি দুর্বল হতে শুরু করে এবং তাদের ক্ষয় শুরু হয়।
এই কারণেই জয়েন্টে ব্যথাও শরীরে শুরু হয়। এগুলো এড়াতে প্রতিদিন গুড় ও ছোলা খাওয়া উচিৎ।
গুড়-ছোলা হার্টকে সুস্থ রাখে:
গুড়-ছোলা হার্টকে সুস্থ রাখে। গুড়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায়, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি রোধ করে।
এর বাইরেও গুড়-ছোলা শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। এর ব্যবহার শরীরের মেটাবলিজম বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে।
হজমের উন্নতি করে:
দুর্বল হজমের কারণে, বেশিরভাগ মানুষের পেট সংক্রান্ত সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি এবং গ্যাস থাকে। পেট সংক্রান্ত সব সমস্যায় যদি প্রতিদিন গুড় ও ছোলা খেলে, এই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
No comments