কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রধান কারণগুলির মধ্যে রয়েছে অসময়ে খাবার খাওয়া, রাতে খাবারের সাথে সাথে ঘুমিয়ে যাওয়া, জল কম পান করা, ভাজা জিনিস বেশি খাওয়া, একই ধরণের খাবার ক্রমাগত খাওয়া, খাওয়ার পর এক জায়গায় বসে থাকা এবং অতিরিক্ত খাওয়া। ব্যথানাশক কোন ওষুধ সেবন।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর জলে লেবুর রস ও বিট লবণ মিশিয়ে পান করুন। এতে পেট ভালোভাবে পরিষ্কার হবে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও থাকবে না।
প্রতিদিন রাত্রে কুসুম কুসুম গরম জলের সাথে গুঁড়া ত্রিফলা পান করুন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য তো দূর হবেই, সেই সঙ্গে পেটে গ্যাস তৈরির সমস্যা থেকেও মুক্তি মিলবে।
মধু কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য খুবই উপকারী। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস জলে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এর নিয়মিত সেবনে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
প্রায় ৮-১০ গ্রাম শুকনো আঙ্গুর সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এর বীজ বের করে দুধে সিদ্ধ করে খান এবং দুধ পান করুন। রাতে কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে এর বীজ বের করে নিয়ে ভালো করে চিবিয়ে খান।
যদি কারো কোষ্ঠকাঠিন্যের সঙ্গে জ্বালাপোড়া হয়, তাহলে রাতে এক গ্লাস জলে এক চামচ আস্ত ধনে ও মৌরি ভিজিয়ে রাখুন। সকালে বাসি মুখে পান করুন। এটা একটানা করলে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়েও পেঁপে খুবই উপকারী। এটি ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ। দিনে একবার পেঁপে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। পাকা পেয়ারাও সমান উপকারী হতে পারে।
ডুমুরও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। রাতে ডুমুর ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খালি পেটে খান। এভাবে এক সপ্তাহ করলে কোষ্ঠকাঠিন্যে উপশম হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে মৌসুমি ফল ও শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সারাদিন প্রচুর জল পান করতে হবে। যদিও প্রত্যেকের আট গ্লাস জল পান করা উচিত, তবে কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের বেশি করে জল পান করা উচিত। বেশি ভাজা ও ঝাল-মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
No comments