আমরা সবাই ছোটবেলা থেকে একটি কথা শুনে আসছি, ' যারা প্রতিদিন একটি আপেল খায় তাদের ডাক্তারের কাছে যাওয়ার দরকার নেই। এখন বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই প্রবাদে আপেলের সাথে ডিম যোগ করার সময় এসেছে। প্রতিদিন একটি ডিম খেলে আপনাকে অনেক রোগ থেকে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করতে পারে। ডিম বছরের পর বছর ধরে একটি স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার হিসেবে খাওয়া হয়ে আসছে, কিন্তু কিভাবে এটি আমাদেরকে অনেক মারাত্মক রোগের ঝুঁকি থেকে নিরাপদ রাখতে পারে, আসুন আমরা সে সম্পর্কে জানি।
ডিমের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে প্রতি বছর আট অক্টোবর বিশ্ব ডিম দিবস পালিত হয়। হৃদরোগ থেকে শুরু করে শরীরের সামগ্রিক ফিটনেস পর্যন্ত, চোখ এবং পেশী সুস্থ রাখতে ডিম খাওয়া খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। নিচের স্লাইডে প্রতিদিন ডিম খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ডিম প্রোটিন সমৃদ্ধ
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করা শরীরের পেশী গঠন এবং তাদের সুস্থ রাখার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বলে মনে করা হয়। ডিম প্রোটিনের ভালো উৎস, তাই প্রোটিনের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয়তা সহজেই পূরণ করা যায়। ডিম খাওয়া শরীরের কোষ, হাড় এবং পেশীর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য উপকারী হতে পারে। ডিম খাওয়া শরীরে শক্তি যোগায়।
ডিম হার্টকে সুস্থ রাখে
মানুষের মধ্যে একটি সাধারণ বিশ্বাস আছে যে ডিম খাওয়া শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে, যদিও গবেষণায় দেখা গেছে যে ডিম খাওয়া ভাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন বলছে যে প্রতিদিন একটি ডিম হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, সেই সাথে সব ধরনের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
ডিম খাওয়া চোখের জন্য উপকারী
চোখকে ইশ্বরের সবচেয়ে সুন্দর উপহার বলে মনে করা হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন একটি করে ডিম খেলে আপনি আপনার চোখকে সুস্থ রাখতে পারেন। ডিমে রয়েছে লুটিন এবং জেক্সানথিন যা চোখের জন্য স্বাস্থ্যকর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যারা ডিম খায় তাদেরও দৃষ্টিশক্তি হ্রাস বা অন্যান্য রোগের জটিলতা কম থাকে।
ডিম খাওয়ার অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা
গবেষণায় দেখা গেছে যে ডিম খাওয়া বিপাককে উন্নত করতে পারে যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এর বাইরেও ডিম খাওয়া সেলুলার স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ডিম কোলিনের একটি ভাল উৎস হিসাবে বিবেচিত হয়, যা শরীরের সেলুলার স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি উপাদান। কোষ বজায় রাখা এবং ডিএনএ সংশ্লেষণ বৃদ্ধি ছাড়াও, কোলিন বিপাক উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
No comments