শীতে আমাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি ঠান্ডার দিনে করা একটি ছোট ত্রুটিও খুব বিপজ্জনক হতে পারে।
অনেকে বিশ্বাস করেন যে ঠাণ্ডা ঋতুতে শরীর গরম রাখতে বেশি করে খাবার খাওয়া উচিত, ফলে শরীরের তাপ বজায় থাকে। আপনি যদি শীতের কারণে খাবারের প্রতি বেশি মনোযোগ দিয়ে ব্যায়ামের দিকে কম মনোযোগ দেন, তাহলে তা অদূর ভবিষ্যতে আপনার ক্ষতি করতে চলেছে। শীতের পরে আপনার ওজন অনেক বেড়ে যেতে পারে। যা কমাতে অনেক চেষ্টা করতে হতে পারে।
ঠান্ডা শুরু হওয়ার সাথে সাথে লোকেরা প্রায়শই জলের ব্যবহার কমিয়ে দেয়। লোকেরা মনে করে যে, গ্রীষ্মকালে তারা অতিরিক্ত ঘামের কারণে বেশি জল পান করলেও, শীতকালে কম জলের প্রয়োজন হয়। আমাদের প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ গ্লাস জল পান করতে হবে। এটি আমাদের শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং জলশূন্যতা সৃষ্টি করে না।
শীত শুরু হলেই অনেকেই তাদের সুবিধার্থে গরম জল দিয়ে চান করা শুরু করেন। এমনটা করলে শরীর ঠাণ্ডা থেকে বাঁচলেও অনেক ক্ষতি হয়। গরম জলে স্নান আমাদের ত্বককে খুব শুষ্ক ও রুক্ষ করে তোলে। অনেক সময় অতিরিক্ত গরমের কারণে ত্বকের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শীতে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে রুক্ষ হয়ে যায়। যার কারণে অনেকেই ত্বকের জন্য ক্রিম ব্যবহার করেন। কেউ কেউ দিনে কয়েকবার ক্রিম ব্যবহার করেন। যা ত্বকে অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। তাই ত্বককে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করতে এবং আর্দ্রতা বজায় রাখতে এটি সীমিত পরিমাণে ব্যবহার করুন।
ঠান্ডায় সবাই বেশি পোশাক পরার পরামর্শ দেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গরম কাপড় পরার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে করে আমরা শরীরের অনেক ক্ষতি করে থাকি। ঠাণ্ডা মৌসুমে বেশি গরম কাপড় পরলে আমরা শরীরের ঠাণ্ডা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কমিয়ে ফেলি। এতে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনাও অনেক বেড়ে যায়। আসলে বেশি গরম কাপড় পরলে শরীর থেকে দ্রুত পলিনা বের হয়। যা ঠান্ডা ঋতুতে ঠাণ্ডা লাগার জন্য একটি বড় কারণ।
No comments